‘সালমানকে হত্যা করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য’
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই জেলে বসেই দিলেন সলমন খানকে ফের হুমকি। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ‘সলমন খানকে হত্যা’ করাই তাঁর জীবনের লক্ষ্য। সঙ্গে দেশের এই সুপারস্টারকে পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার সঙ্গেও তুলনা করেন।
বলেন, ‘অহংকার ওদের রাবণের চেয়েও বড়’। দিনকয়েক আগেই এই গ্যাংস্টার সাফ জানিয়ে দেন সলমন প্রকাশ্যে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেই এই ঘটনার নিষ্পত্তি হবে।
গতকাল শনিবার (১৮ই মার্চ) জেলে থেকে সংবাদমাধ্যমে সালমান খানকে আবারও হত্যার হুমকি দিলেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ জানায়, জেলে বসেই ছক কষছেন লরেন্স।
কারাগারে বসেই এই সাক্ষাৎকারটি দেন বিষ্ণোই। বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য হল সলমন খানকে হত্যা করা। সলমন খানের নিরাপত্তা সরিয়ে দিলেই আমি তাকে হত্যা করব। সলমন খানকে ক্ষমা চাইতে হবে। তার বিকানেরে আমাদের মন্দিরে যাওয়া উচিত এবং ক্ষমা প্রার্থণা করা উচিত।’
‘যদি তিনি (সলমন) ক্ষমা চান, তাহলে বিষয়টি শেষ হয়ে যাবে। আসলে সলমন অহংকারী, মুসেওয়ালাও এমন ছিলেন। সলমন খানের অহং রাবণের চেয়েও বড়।’, নিজের কথায় জুড়ে দেন লরেন্স।
এর আগে লরেন্স বিষ্ণোই দাবি করেছিলেন, তাঁকে অর্থ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল সলমন খানের তরফে। তিনি তখন জানান, ‘সলমন খানকে নিয়ে আমাদের সমাজে ক্ষোভ রয়েছে। সে আমার সমাজকে অপমান করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও সে ক্ষমা চয়নি। যদি সে ক্ষমা না চায়, তাহলে পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত থাকুক।
আমি অন্য কারো উপর নির্ভর করব না। ছোটবেলা থেকেই ওর জন্য আমার মনে রাগ। তার উচিত আমাদের দেবতার মন্দিরে এসে ক্ষমা চাওয়া। আমাদের সমাজ যদি ওকে ক্ষমা করে তাহলে আমি কিছু বলব না।’
উল্লেখ্য, কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় আদালত খালাস দিয়েছেন সালমানকে। তার পরেও পিছু ছাড়ছে না অস্বস্তির অতীত।
২০১৮ সাল থেকেই সালমান খানকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছেন বিষ্ণই। সেই সময়ে খুনের হুমকির অভিযোগে তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ। মাঝে পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিচালক জানান, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগীরা মুম্বাইয়ে সালমান খানের বাড়ির আশপাশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছিল।
সালমানের পনভেলের ফার্মহাউজে ঢোকার মুখেও তাকে হত্যার ছক কষেছিলেন লরেন্স।
নিরামিষভোজী বিষ্ণোইদের কাছে গাছ কাটা ও প্রাণী হত্যা মহাপাপ। ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে এই সম্প্রদায়ের মানুষ সালমান খানসহ একটি শুটিং ইউনিটের আরও কজনের বিরুদ্ধে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ (যা চিংকার নামেও পরিচিত) হত্যার অভিযোগে মামলা করেছিল।