পিতার সম্পত্তি ও মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা

কানাইঘাটে এক ভূক্ত ভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন::

 

কানাইঘাট প্রতিনিধি::

কানাইঘাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আপন ভাতিজা—ভাতিজির বিরুদ্ধে ঘর পুড়ানোর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী সহ বসত বাড়ীর জায়গা জোর পূর্বক ভাবে দখল করে
ঘর নিমার্নের ঘটনায় জীবনের চরম নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোক্তভোগী পরিবারের এক নিরীহ মহিলা।

শনিবার কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার গড়াইগ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে ফেরদৌসী বেগম জেবিন লিখিত পাঠকালে বলেন তার মরহুম পিতা আব্দুর রহমান অনুমানিক ২ বছর পূর্বে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে তার আপন চাচা এলাকার প্রভাবশালী আব্দুর রব ও তার পুত্র মাসুম আহমদ, আমিন উদ্দিন গংরা তার পিতার খরিদ সূত্রে বসত বাড়ীতে মালিকানাধীন ভোগ দখলীয় ২২ শতক ভূমির রাস্তার সামনের বড় অংশ জোর পূর্বক জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জবর দখল করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।

সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসী বেগম জেবিন কান্না জড়িত কণ্ঠে আরো বলেন, গত ৫/১/২৩ইং তারিখে তার আপন চাচা আব্দুর রব তার ছেলেদের নিয়ে রাতের আধারে তার অপর
ছেলে জাকারিয়ার টিনশেডের জরাজীর্ণ একটি ঘরের সমস্ত মালামাল দিনের বেলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। নিজেরা ঘর পুড়িয়ে ভিট বাড়ীর জায়গা
জবর দখল করার জন্য কানাইঘাট থানায় তার আপন চাচা আব্দুর রব বাদী হয়ে তাকে সহ তার সহজ সরল ভাই শাহিন আহমদ সহ আরো ৯ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগে দায়ের করলে প্রভাবশালী মহলের চাপে পুলিশ বাধ্য হয়ে ১৪/১/২২ইং তারিখে মামলাটি এফআইআর করে।

 

উক্ত সাজানো, মিথ্যা ঘর পুড়ানোর মামলা দায়েরের পর আমি সহ ৫ জন আসামী সিলেটের বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হলে আদালত আমাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন লাভের পর থেকে আমার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা অব্যাহত ভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাননাশের হুমকি ও আরো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী করবে তাদের এমন হুমকির মুখে আমার বৃদ্ধ মা ছাড়া বাড়ী ছেড়ে আমি ও আমার প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রীরা পিত্রালয়ে আশ্রয় নেই। এই সুযোগে গত বৃহস্পতিবার সকালে আমার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা এবং তাদের স্বজনরা আমার পিতার ভিট বাড়ীর খরিদা ভূমির ৮/৯ শতক জমি জোর পূর্বক ভাবে জবর দখল করে তথায় ৭০/৮০ জন শ্রমিক লাগিয়ে ফেলুডার, স্কেভেটর দিয়ে মাটি ভরাট করে তথায় টিনশেডের ঘর নিমার্ন করেন। আমার বৃদ্ধ মা সৈয়দুন নেছা বাধা প্রদান করলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করলে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করেন।

 

এ ঘটনায় আমার প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ঐ দিন রাতে থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার চাচাকে আমাদের খরিদা ভূমির উপর স্থাপনা নিমার্ন না করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করে আমার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা স্থাপনার কাজ করে যাচ্ছেন। যার কারনে একদিকে মিথ্যা মামলার কারনে আমরা হয়রানীর শিকার হচ্ছি অপর দিকে আমাদের সম্পত্তি রক্ষা করতে পারছি না।

 

এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনের ফেরদৌসী বেগম জেবিন মিথ্যা ঘর পুড়ানোর মামলাটি অধিকতর তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন এবং তাহাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং পিতার খরিদা সম্পত্তি চাচার কবল থেকে উদ্ধার সহ জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সিলেটের মান্যবর পুলিশ সুপার মহোদয় ও
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।