কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ পানি-নিষ্কাসনের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়ায় কানাইঘাট গাছবাড়ী বাজার সংলগ্ন বিস্তৃর্ণ ক্ষেতের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ার পর পানি-নিষ্কাশন কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে। বিগত দু’দফা বন্যায় হাজারো বিঘা জমির উপরে বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে পানি নিষ্কাসনের পথ বন্ধ করে দেয়ার কারনে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিলে আশপাশের অনেক বাড়ি-ঘর ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায়। কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও বার বার বাঁধাগ্রস্ত করা হয়।
পানি নিষ্কাসন বন্ধ হওয়ার কারনে এলাকায় জনদুর্ভোগ দেখা দিলে এ নিয়ে বার বার উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়। বিষয়টি সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ হাফিজ আহমদ মজুমদারকে অবহিত করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি। সম্প্রতি সাংসদ হাফিজ আহমদ মজুমদার গাছবাড়ী এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করতে আসলে পানি নিষ্কাসন নিয়ে দু’টি ইউনিয়নের জনসাধারণের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টি তার কাছে তুলে ধরা হলে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মুমিন চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়খ সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য মস্তাক আহমদ পলাশকে দ্রæত পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। পানি নিষ্কাসন কাজে দক্ষিণ বাণীগ্রামম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান আবু বক্কর সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সহযোগিতা করার জন্য বলেন হাফিজ মজুমদার এমপি। শেষ পর্যন্ত এমপির নির্দেশে গত দু’দিন থেকে বিশাল ক্ষেতের মাঠ থেকে জলাবদ্ধতা দূর করতে পানি নিষ্কাসনের কাজ শুরু হয়।
গতকাল রবিবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী পানি নিষ্কাসনের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী যুবলীগ নেতা জুলিয়ান চৌধুরী রাহি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ বাবর সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
পানি নিষ্কাসন পরিদর্শনের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মুমিন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিনের জলাব্ধতা দূর করতে কাজ শুরু হয়েছে। যেভাবে বিশাল ক্ষেতের মাঠ থেকে পানি অপসারন হয় এজন্য যা যা দরকার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে।