মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারই তাহলে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি?
কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি? জানা যাবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। তবে নাটকীয়ভাবেই এখন এই পদে জ্বলজ্বল করে ভাসছে যে নামটি তিনি হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। সরকারের একাধিক সূত্র একটি অনলাইন পোর্টালকে জানাচ্ছে, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের নামের ওপরেই সিলমোহর দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচন কমিশনে আজ সকাল ১০টায় মনোনয়নপত্র নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের।
সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র মতে জানিয়েছে, তৃণমূলের রাজনীতি থেকে জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসা অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকায় শেষ মুহূর্তে তিনিই হয়ে উঠেন নতুন পছন্দ।
আগামী ১৯শে ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের তারিখ। তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল কাউকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা নেই। এর বাইরে অন্য কোনো প্রার্থীও এখন পর্যন্ত নেই। একক প্রার্থী হলে শেষ পর্যন্ত আর ভোটের প্রয়োজন হবে না। ১৯৯১ সালে সংসদীয় ব্যবস্থায় ফেরার পর থেকে মাত্র একবার প্রেসিডেন্ট পদে ভোটের প্রয়োজন পড়েছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হবে। আইন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মাত্র একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সম্পর্কে বলা আছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিনে ও সময়ের মধ্যে কোনো সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে ওই পদের জন্য মনোনীত করে নির্বাচনী কর্তার কাছে একটি মনোনয়নপত্র দিতে পারবেন, যে মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে তার স্বাক্ষর থাকবে এবং সমর্থক হিসেবে অন্য একজন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর থাকবে। সেই সঙ্গে যিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত হতে যাচ্ছেন, তারও উক্ত মনোনয়নে সম্মতিসূচক স্বাক্ষরিত বিবৃতি থাকবে। তবে প্রস্তাবক বা সমর্থক হিসেবে কোনো সংসদ সদস্য একটির বেশি মনোনয়নপত্র সই করবেন না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটার সংসদ সদস্যরা। চলতি সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ফলে আওয়ামী লীগ যাকে প্রার্থী মনোনয়ন করবে তিনিই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন।