শিক্ষকের দু’গালে ছাত্রের চড়-থাপ্পড়

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ

 

পরীক্ষা চলাকালীন অসদুপায় অবলম্বন করছিল এক ছাত্র। সে কাজে বাঁধা দেয়ায় ওই শ্রেণি কক্ষে দায়িত্বরত বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমানের দু’গালে চড় মেরে পালিয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটে গত রোববার (৮ই অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে।

ঘটনার দিন রাতে প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান সদর থানায় এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্র দেন। এরপর আজ সোমবার নিয়মিত মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সাইফুল আমিন দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল-আমিনের ছেলে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোমবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।

এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আক্তারকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান। সোমবার সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে এই কমিটি।

প্রধান শিক্ষক  জানান, এ বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি থানায় অভিযোগপত্র দিতে পরামর্শ দেন।

সেই মোতাবেক অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এরপর মামলা হয়েছে। ডিসি স্যার আমাদের সভাপতি তিনি যেভাবে বলবেন আমরা সেভাবে এগুবো। তবে এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে!

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান জানান, বিদ্যালয়ের ১১২ নম্বর কক্ষে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বপালন করছিলেন সহকারী শিক্ষক
হাফিজুর রহমান।

পরীক্ষা চলাকালীন এ বিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখার দশম শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থী সাইফুল আমিন পরীক্ষার হলে অসদুপায় আবলম্বন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এমতবস্থায় দায়িত্বরত শিক্ষক বাঁধা প্রদান করায় ওই শিক্ষার্থী শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।