জামিনে কারামুক্ত হলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। আজ সোমবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান বলে জানান সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।

সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, আদালত থেকে জামিনের নথি অফিসিয়ালি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে শামস কারাগার থেকে বের হয়েছেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।এদিন জামিন চেয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার শুনানি করেন।

 

রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২৯ মার্চ আটক করা হয় শামসুজ্জামানকে। পরে তাকে তেজগাঁ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে একই আইনে দ্বিতীয় মামলা হয় রমনা থানায়।

৩০ মার্চ আদালতে নেয়া হয় শামসুজ্জামানকে। পরে রমনা থানা-পুলিশ তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। ওইদিন তার জামিন আবেদন নাকচ হয়। এরপর সোমবার সকালে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়।

 

এর আগে গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল।

 

ওই প্রতিবেদনটিতে স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্য ছিল। একই প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’

প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ফটো কার্ড ছাপা হয়েছিল। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের আর ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজের। ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনী দেয় সংবাদমাধ্যমটি।

এ নিয়ে বেসরকারি একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।