সুরমা টাইমস ডেস্ক :
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গতকাল শনিবার (৩রা মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন, আমরা নৈতিকতা ও সততার সঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সত্য সম্পর্কে প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাজকে অবশ্যই রক্ষা এবং গ্রহণ করতে হবে, কোনোভাবেই দমন করা যাবে না।
বাংলাদেশে আমরা সাম্প্রতিক ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসকের পৃষ্ঠপোষকতায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিয়মতান্ত্রিক অবক্ষয় দেখছি।
সেই অন্ধকার বছরগুলোতে অবিস্মরণীয় সাহস ও প্রতিশ্রুতির সঙ্গে অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক দুর্নীতি, মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন এবং আর্থ-সামাজিক ব্যর্থতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছিলেন, যা রাষ্ট্র দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল।
এই সাহসী সাংবাদিকরা মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, দেশ-বিদেশে সর্বত্র সত্য অনুসন্ধানে অবিচল ছিলেন।
তারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্নে অবিচল ছিলেন এবং মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অবদান রাখেন।’
তারেক রহমান লেখেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং সেই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, যারা নৈতিকতা বজায় রেখে সত্য প্রকাশে অটল।
তিনি পোস্টে লেখেন, সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাজকে সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি স্বাগত জানানো উচিত, কোনোভাবেই হামলা বা সেন্সরের মাধ্যমে দমন করা চলবে না।
বিএপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও লেখেন, বাংলাদেশে সদ্যবিদায়ী স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় মদদে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ধারাবাহিকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল।
সেই অন্ধকার সময়ে, সাহস ও অটল নিষ্ঠার মাধ্যমে বহু বাংলাদেশি সাংবাদিক রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যর্থতার চিত্র উন্মোচন করেন।
উল্লেখ্য, পোস্টে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত দলের সবশেষ জাতীয় কাউন্সিলের আদলে অঙ্কিত একটি কমিক চিত্র সংযুক্ত করেন তিনি।