১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলেন যুবতী

সুরমা টাইমস ডেস্ক :

বিতর্কিত এক দাবির মাধ্যমে আবারও শিরোনামে এসেছেন যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট নির্মাতা বনি ব্লু। ২২ বছর বয়সী এই তরুণী সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও শেয়ার করে দাবি করেছেন, তিনি মাত্র ১২ঘণ্টায় বিছানায় সঙ্গ দিয়েছেন ১০৫৭জন পুরুষকে।  তিনি একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন।

বনি, যিনি ওনলি ফ্যানস প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, জানিয়েছেন যে এটি তার জন্য একটি ‘ব্যক্তিগত মাইলফলক’ এবং এর মাধ্যমে তিনি নিজস্ব সীমা ও শারীরিক সক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই ঘটনার সত্যতা নিয়েও বক্তব্য রেখেছেন।

বনি ব্লু। জন্ম ১৯৯৯। স্টাফলফোর্ডের মেয়ে। তিনি এখন যথেষ্ট পরিচিত মুখ প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও বানানোর কারণে।

ওনলি ফ্যান নামক ওই প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বানানোর আগে, বনি ওয়েবক্যাম মডেল হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এবার তাঁরই এক ভিডিও ঘিরে হইচই।

তবে তার এই দাবি ঘিরে অনলাইনে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। অনেকেই বিষয়টিকে ‘অসাধারণ’ হিসেবে দেখলেও, অধিকাংশ নেটিজেন বিষয়টিকে ‘বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ’ বলেই মনে করছেন।

অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, এই ধরনের তথ্য প্রকাশের সামাজিক প্রভাব ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে।

 

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৪ সালে লিসা স্পার্কস নামের একজন মার্কিন নারী এক দিনে ৯১৯ জন পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে আলোচিত হয়েছিলেন।

বনি ব্লু’র সাম্প্রতিক দাবি যদি প্রমাণিত হয়, তবে তা সেই পুরোনো রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে।

 

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বনি মূলত ১৮-১৯ বছর বয়সীদের লক্ষ্য করে কনটেন্ট তৈরি করেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, এসব কনটেন্ট বাস্তব জীবনের প্রতিফলন নয় এবং এগুলো থেকে কেউ শিক্ষণীয় কিছু পাবেন না।

 

প্রাপ্তবয়স্ক ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের আগে তিনি একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিবাহিত।

সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে বনি তার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন—কেমনভাবে তিনি কাজ করেন, কীভাবে আয় করেন, কোন প্রসাধনী ব্যবহার করেন এবং কীভাবে দিন কাটে।
তবে এসব খোলামেলা শেয়ারিং অনেকের কাছেই বিরক্তিকর মনে হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরনের রেকর্ড জানার আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কি না।

যদিও এসব খোলামেলা তথ্য অনেকের কাছে আগ্রহের বিষয়, অনেকেই এটিকে অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত বলেও মনে করছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।