শাবি প্রতিনিধি::
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধীনে চাইনিজ কর্নার ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ-চায়না টি সামিট-২০২৫।
আগামী ২০শে মে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সোশ্যাল সায়েন্স বিল্ডিংয়ে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে এবং রেজিস্ট্রেশন চলবে ৫মে পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০০ টাকা।
গত বুধবার (২৩শে এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চায়নিজ কর্নারের সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ-চীন চা বাণিজ্য ও সহযোগিতা উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ২০শে মে বাংলাদেশ চায়না টি সামিট অনুষ্ঠিত হবে। সামিটে চীন থেকে ১২ জন চা ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা অংশ নিবে।
সামিটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশি চা ব্যবসায়ীরা চীনা উদ্যোক্তা ও আমদানিকারকদের সামনে সরাসরি নিজেদের পণ্য তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।
এতে করে চীনের বাজারে বাংলাদেশি চায়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক ধারণা লাভ করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, সামিটে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে স্টল প্রদর্শনের এবং বিভিন্ন রকমের চা পানের সুযোগ। প্রতিটি স্টলের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ ফুট বাই ৬ ফুট।
স্টলের সঙ্গে থাকবে দুটি টেবিল, তিনটি চেয়ার, বৈদ্যুতিক সকেট, লাইটিং এবং একটি স্ট্যান্ড ফ্যান। অংশগ্রহণকারীরা পাবেন আকর্ষণীয় গিফট ব্যাগ ও লাঞ্চ প্যাক।
সামিটে চা শিল্পের উপর কয়েকটি অ্যাকাডেমিক সেশনেরও আয়োজন করা হয়েছে।
এই সামিট স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চা বাণিজ্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
অংশগ্রহণকারীরা চা রপ্তানিতে ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি পদ্ধতি সহজিকরণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগও পাবেন।
বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকদের উপস্থিতিতে আলোচনা হবে প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা, বাজার সম্প্রসারণ কৌশল, সরকারি নীতিমালার সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে।
এ ব্যাপারে চাইনিজ কর্নারের সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক বলেন, ‘সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ রয়েছে প্রায় দেড়শ চা বাগান।
এই সামিটের মাধ্যমে এসব এলাকার চা ব্যবসায়ীদের সাথে চীনের চা ব্যবসায়ীদের একটি যোগসূত্র স্থাপিত হবে। এটি বাংলাদেশ এবং চীনের চা বাগান মালিক, উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের জন্য বড় সুযোগ।
এই ধরনের উদ্যোগ সিলেটে এই প্রথম। এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত।’
রেজিস্ট্রেশন বা অন্যান্য তথ্যের জন্য [email protected] এই মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে।