সুরমা টাইমস ডেস্ক :
অর্ধযুগের বেশি সময় পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে আসেন তিনি।
এখানে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও তিন নাতনির সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেন।
এরপর দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করা হয়নি তাঁর।
২০১৫ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমান ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর ২০১৭ সালে লন্ডনে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন খালেদা জিয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য ও যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব কমার্স অ্যান্ড আইটির কর্ণধার নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ বলেন, ১৮ বছরে খালেদা জিয়ার মতোন একজন নেত্রী এবারের মতো মাত্র তিনবার পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারছেন, সেটিও সম্ভব হয়েছে উনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসতে পারায়।
খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের সাথে যুক্তরাজ্য বিএনপি এবার কোনও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান করবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, তারা বড় পরিসরের হল পাচ্ছেন না। হলের ব্যবস্থা করতে পারলে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন যে তার স্বাস্থ্যের উন্নতির ইতিবাচক লক্ষণ দেখা গেছে।
এদিকে সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া অনেক ভালো আছেন। তিনি বাসায় ফিরে খুব হাসিখুশি আছেন। আমার মনে হয় তিনি ৬০ পার্সেন্ট সুস্থ হয়ে গেছেন।
খালেদা জিয়ার এই উপদেষ্টা বলেন, ব্রিটিশ বাংলাদেশি দুটি টিম মিলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতালের চেয়ে বাসায় বেটার ট্রিটমেন্ট হচ্ছে। রোববারও দেখলাম ডা. জোবাইদা রহমান বসে খাওয়াচ্ছেন। পাশে তারেক রহমান বসা।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তার পুত্রবধূদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। বাসায় যাওয়ার মানে হচ্ছে, তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। উনি অচিরেই দেশে যাবেন। দেশের জনগণ উনাকে দেখতে চায়।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বর্তমানে লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় রয়েছেন।