অবশেষে আটক ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি’র নাতি পরিচয়দানকারী হুমায়ূন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে সাবেক ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নাতি পরিচয়দানকারী হুমায়ুন আহমদকে অবশেষে আটক করেছে র‌্যাব ।

র‌্যাব ও মামলা সূত্রে জানাযায়, বাংলাটিভি’র গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি রাজু, আনন্দটিভি’র গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি ইব্রাহিম ও অন্য এক পত্রিকার সাংবাদিক গোয়াইনঘাটের চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাইটিভি’র ভুয়া সাংবাদিক হুমায়ুনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গেল ১৮ই মার্চ হুমায়ুনের নেতৃত্বে তার ছেলে ও স্বজনরা তিন সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।

 

এ ব্যাপারে বাংলাটিভি’র সাংবাদিক দুলাল হোসেন রাজু বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করলে থানার অফিসার ইনচার্জ আমলে নিয়ে মামলা রুজু করেন।

 

যার মামলা নং ২৭, তারিখঃ ১৮/০৩/২০২৫ খ্রিঃ, ধারাঃ ১৪৩/ ৩৪২/ ৩২৩/৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/৩৭৯/ ১১৪/ ৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০; মূলে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান ১নং পলাতক আসামী- মোঃ হুমায়ুন আহম্মদ (৫২) কে ঢাকার বংশাল থানা থেকে র‌্যাব-১০ ও ৯ এর যৌথ অভিযানে গত ২২শে মার্চ ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ রাত ১১.৩০ মিনিটে চানখারপুল চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে গোয়াইনঘাট থানার ছৈলাখেল ৮ম খন্ড গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র।

বিগত ৫ই আগস্টের পর থেকে জাফলংয়ের পরিবেশ বদলে যায়। লুট হয় কোয়ারিতে। হাত দিয়েই সরিয়ে ফেলা হয় পাথর। আর এতে দলবল নিয়ে নামেন হুমায়ূন। নিজেও পাথর লুট করেন।

একই সঙ্গে পুলিশের ঠিকাদার হিসেবে ওই সময় পুলিশের নামে চাঁদাবাজি করে। এতে করে জাফলং কোয়ারিতে অন্যতম শক্তিধর হিসেবে আভির্ভূত হয় হুমায়ূন।

প্রথম ২০-২২ দিনে জাফলং কোয়ারিতে ১২৫ কোটি টাকার বালু ও পাথর লুট করা হয়। এ তথ্য প্রশাসনের।

ওই সময় নেতৃত্বে ছিল বিএনপি’র বহিষ্কৃত দুই নেতা স্বপন ও শাহপরান। তাদের সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতো হুমায়ূন।

 

পরে যখন বোমা মেশিন দিয়ে লুটপাট শুরু হয় তখন আরও বেশি আধিপত্য নেয় হুমায়ূন। নিজেই গড়ে তোলে বলয়। আর এই বলয়ে নেতৃত্ব দেয় তার ছেলে সানোয়ার। তার ছেলে সানোয়ার হচ্ছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১৭ই মার্চ) রাত ১১টার দিকে জাফলং ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা মাই টিভি’র গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি হুমায়ুন ও তার বাহিনীর হাতে হামলার শিকার হন বাংলা টিভির জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রতিনিধি দুলাল হোসেন রাজু, আনন্দ টিভির সাংবাদিক ইব্রাহিম আলী ও নাগরিক টিভির সাংবাদিক সালমান শাহ।

এদিকে, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় হুমায়ূনকে গোয়াইনঘাট প্রেস ক্লাব থেকে বহিষ্কার ছাড়াও মাই টিভি  থেকে ইস্তফা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যপারে র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গোয়াইনঘাটের এক সাংবাদিকের উপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।