সুরমা টাইমস ডেস্ক :
চোট যেন পিছু ছাড়ছেই না নেইমারের। সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাজিল তারকা।
কিন্তু স্বদেশি ক্লাবে মাত্র ৭ ম্যাচ খেলে ফের ইনজুরিতে পড়েছেন ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
গেল রোববার সাও পাওলো রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে চোটের কারণে খেলতে পারেননি নেইমার। ওই ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী করিন্থিয়ান্সের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় সান্তোস। অথচ পুরো ৯০ মিনিট বেঞ্চে বসে কাটান নেইমার।
এর আগে ৩ মার্চ সান্তোস-ব্রাগানতিনো ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন নেইমার। ওই ম্যাচের এক পর্যায়ে অস্বস্তি অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন নেইমার।
গতকাল ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তার সেমিফাইনালে চোটের কারণে একাদশ থেকে ছিটকে যান নেইমার। পরে বেঞ্চে বসে দেখেছেন দলের বিদায়। করিন্থিয়ানসের বিপক্ষে সান্তোসের হার ২-১ গোলে।
সেই ম্যাচের আগে খেলতে না পারার কষ্টে নেইমারের কান্নার ভিডিও সামনে এসেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরালও হয়েছে।
অবশ্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে। মূলত সেমিফাইনালের আগে গত সপ্তাহে কার্নিভ্যাল দেখতে যাওয়ার কারণেই এই সমালোচনা শুনতে হচ্ছে নেইমারকে।
জনপ্রিয় লেখক কাসাগ্রান্দে জুনিয়র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সে সেমিফাইনালের বদলে কার্নিভ্যালকে বেছে নিয়েছে।
নেইমারের গত পাঁচ বছরের আচরণ আবার ফিরেছে। সে নিজের মজা ও আনন্দের জন্য পেশাদারির দিকও বদল ফেলে।’
অন্য এক সাংবাদিক যেমন লিখেছেন, ‘এটা সমর্থন করার মতো নয়। সে ফুটবলকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। এমনকি চোটও তার কার্নিভ্যালে যাওয়া ঠেকাতে পারেনি।’
আরেক ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, ‘সে কখনো বদলাবে না।’ অন্য একজনের মতো এমন, ‘চোট নিয়ে নেইমারের কার্নিভ্যালে যাওয়া তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’
আরেকজন ভক্ত লিখেছেন, ‘সে কখনোই বদলাবে না। অথচ বার্সা সমর্থকেরা তাকে দলে ফেরাতে চায়।’
এমন সমালোচনা থামাতেই হয়তো সান্তোস নেইমারের কান্নার ভিডিওটি প্রকাশ করেছে, যেখানে সেমিফাইনালের আগে অশ্রুসিক্ত নেইমার সতীর্থদের উদ্দেশে বলেন,
‘এমন মুহূর্তে বাইরে থাকা সত্যিই কঠিন। আমি আমার সমস্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমার ভেতরের দুঃখ লুকাতে পারছি না,” নেইমার বলেন। “তোমরা যদি পারো, তাহলে আমার জন্য দৌড়াও।
আমি ইচ্ছে করছিল তোমাদের সঙ্গে মাঠে থাকতে, প্রত্যেকের জন্য দৌড়াতে। তোমরা জানো না, আমার হৃদয়ের ভেতর কতটা হতাশা জমে আছে।’
৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড সান্তোসে ফেরার পর ৭ ম্যাচে তিন গোল ও তিন অ্যাসিস্ট করেছেন। তার এই পারফরম্যান্স ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়রকে প্রভাবিত করেছে।
ফলে নেইমারকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য দলে ডেকেছেন তিনি।