বিশ্বনাথে হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা, গ্রেফতার ১

সুরমা টাইমস ডেস্ক :

সিলেটের বিশ্বনাথে হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভাসুর, দেবর, ভাসুরপুত্র ও জা’র নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি সেলিম আহমদের স্ত্রী হুছনা বেগম।

গত রোববার (৯ই মার্চ) বিকেলে তিনি এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন হোসেনপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে শামীম আহমদ (৪২) ও  ডালিম আহমদ (২৮), শামীম আহমদের ছেলে ইসমাইল আহমদ রেদোয়ান (১৯), শামীম আহমদের স্ত্রী সোনারা বেগম (৪০)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরও ৩-৪ জনকে।

এদিকে  রোববার গভীর রাতে মামলার ৪ নাম্বার আসামি সোনারা বেগমকে গ্রেফতারের পর সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে  পাঠিয়েছেন পুলিশ।

মামলার এজাহারে হুছনা বেগম উল্লেখ করেছেন, শামীম আহমদ তার ভাসুর, ডালিম আহমদ দেবর, ইসমাইল আহমদ রেদোয়ান ভাসুরপুত্র ও সোনারা বেগম তার জা।

তারা দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী সেলিম আহমদকে বাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকী দিয়ে আসছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ীতে থাকার শর্তে ২০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের উপর হামলা চালায়।

এ ঘটনায় হুসনা বেগমের স্বামী দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের (নাম্বার সিআর ১৩/২০২৫) করেন। মামলা দায়ের পর থেকে তারা সেটি তুলে নেওয়ার জন্য হুসনার স্বামীকে হুমকি দিয়ে আসছিল।

এর ধারাবাহিকতায় শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে তারা হুসবার স্বামীর উপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম করে। একসময় তারা আমার স্বামীকে রশি দিয়ে হাতপা বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে আরও মারধর করতে থাকে।

আমি আমার রুম থেকে লুকিয়ে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ডালিম আহমদ আমার শ্লীলতাহানি ও আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

তাৎক্ষণিক কল দিলে থানা পুলিশ এসে তার স্বামীকে উদ্ধার করে। হুসনার স্বামীর অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হুছনা বেগমের ভাসুর শামীম আহমদ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘দুই বছর ধরে সেলিম আহমদ আমাদের মা-বাবাকে নির্যাতন করে আসছে।

শনিবার দুপুরেও সে দা (বটি) হাতে নিয়ে তাদেরকেসহ আমাদেরকে বার বার গালাগাল করতে থাকলে এবং আমাদের দিকে তেড়ে আসতে চাইলে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে বেঁধে তাঁর হাতে থাকা দা (বটি) উদ্ধার করি।

মামলা দায়ের ও একজন গ্রেফতারে তথ্য নিশ্চিত করেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।