অপারেশন ডেভিল হান্ট : সিলেটে গ্রেফতার ৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ

অপরাধীদের গ্রেফতার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সারাদেশের মতো সিলেটেও শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।

গ্রেফতারকৃতদের সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দেশব্যাপী চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। তাই পুলিশের সাথে সমন্বয় করে সেনাবাহিনীসহ অন্য সংস্থাগুলো কাজ করছে।

 

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপারেশনে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নষ্ট করতে না পারে সেই জন্য এ অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া দেখা গেছে।

 

পুলিশের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলি করা হয়েছে। এসব ছবি সিলেটের স্থানীয় ও জাতীয় প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিকবার এসব ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।

কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো অস্ত্রধারী গ্রেফতার হয়নি, উদ্ধার করা হয়নি কোনো অস্ত্র।

শুধু তাই নয়, গত ৫ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সিলেট নগরীর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের ১৪টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানা এলাকায় দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান “অপারেশন ডেভিল হান্ট” শুরু হয়েছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার ১০ই ফেব্রুয়ারী যৌথ অভিযানে তাদেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও লালারচক গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে আব্দুল জলিল তালুকদার,

একই উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের মৌজপুরের নারায়ণ চন্দের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নয়ন চন্দ ওরফে নয়ন আদিত্য (২৪)।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অয়ন দাস; তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিরও সহ-সভাপতি ছিলেন। অয়ন নগরীর বাগবাড়ি প্রমুক্ত একতা এলাকার বিমল কান্তি দাসের ছেলে।

এছাড়া সদর উপজেলার বহর আবাসিক এলাকার মৃত মাওলানা জামিল আহমদের ছেলে এবং সিসিকের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ আহমদ ও সদর উপজেলার উমাইরগাঁও গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিব (২৫)।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।