সুরমা টাইমস ডেস্ক :
গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৬নং ফতেপুর ইউনিয়নে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবাসয়ীর উপর হামলা ও নির্মাণার্ধীন দোকানকোঠা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ৬নং ফতেহপুর ইউনিয়নের বাজারে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের দলইপারার মৃত আবদুল গফুরের ছেলে বশির উদ্দিন ও দক্ষিণ বাগেরখালের আবদুল কাদিরের ছেলে আবদুল আজিজ জুবেরের নামোল্লেখ করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলার শিকার ফতেপুর ইউনিয়নের মৃত আজীদ আলীর ছেলে ব্যবসায়ী মাওলানা এবাদ উল্লাহ (৫৩)।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬নং ফতেহপুর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মাওলানা এবাদ উল্লাহ ফতেপুর বাজারে তার জায়গার উপর দোকান কোঠা নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করছিলেন।
অভিযুক্ত বশির উদ্দিন ও আবদুল আজিজ জুবের দোকান কোঠা নির্মাণের আগ থেকে এবাদ উল্লার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দিলে দোকান কোঠা নির্মাণ করতে দেবেন না বলে হুমকি প্রদান করা হয়। বিষয়টি ব্যবসায়ীসহ স্বজনদের জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে অভিযুক্তরা।
এরই ধারবাহিকতায় বশির ও আজিজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের লোকজন নির্মাণাধীন দোকানের দেয়ালসহ অন্যান্য স্থানপা ভাঙচুর করে। এতে ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে ব্যবসায়ী এবাদ উল্লাহ ঘটনাস্থলে পৌছলে অভিযুক্তরা তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
এসময় এবাদ উল্লার সাথে থাকা ১ লাখ ১৪ হাজার ৭শ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বশির ও আজিজ। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ব্যবসায়ী এবাদ উল্লাহকে উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ সরকার বলেন, এই বিষয়টি এসআই মারুফ জানেন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন।
ঘটনার খবর পেয়ে এসআই মারুফ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে দুটি পক্ষ ছিলো। স্থানীয় মুরুব্বিরা বলেছেন এটি দেখে দিবেন তাই চলে আসি।