ইসরাইলকে ৬৮০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলকে নতুন করে ৬৮০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা হস্তান্তর করতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বুধবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন এক কর্মকর্তা এই তথ্য দিয়েছেন। লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হস্তক্ষেপ থাকলেও গাজা ইস্যুতে ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে মার্কিন প্রশাসন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজ নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। এই প্যাকেজের মধ্যে হাজার হাজার জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন কীট (জেডিএএম) এবং শতাধিক ছোট আকৃতির বোমাও রয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছে মার্কিন ওই কর্মকর্তা। লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের একদিন পরেই এ খবর সামনে এলো যা উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কেননা এ বছর লেবাননের যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরাইল। পরে হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে মার্কিন নীতি উল্টো। সেখানে ইসরাইলকে ক্রমাগতভাবে অস্ত্র সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা এই দেশটি। এর আগে গত আগস্টে ইসরাইলের কাছে ২০ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জুনে রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে তেল আবিবকে ১০ হাজারের বেশি বোমা সরবরাহ করেছে। প্রতিটি বোমার ওজন ছিল ২ হাজার পাউন্ড। গাজায় যুদ্ধ জারি রেখে লেবাননে কেন যুদ্ধবিরতি। স্বাভাবিক এই প্রশ্নে উত্তর নিজ মুখেই দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেছেন, তারা পুনরায় তাদের অস্ত্র মজুদ করতে চায়। তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করেই বলছি, এটা কোনো গোপন বিষয় নয়। আমাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহে বড় ধরনের বিলম্ব হয়েছে।  আর তা দ্রুত সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছেন নেতানিয়াহু। অস্ত্র সরবরাহ প্যাকেজটি কয়েক ধাপে ইসরাইলে পৌঁছে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসে আলোচনার পর অক্টোবরে এই প্যাকেজের পর্যালোচনা জমা হয়েছে। বার্নি স্যান্ডার্সের মতো প্রগতিশীল মার্কিন সিনেটরদের একটি অংশ গাজার মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যখন ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করার কথা উত্থাপন করেন তখনও উল্লিখিত প্যাকেজটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার আগে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের শেষ সুযোগটি কাজে লাগায়নি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন। যা গাজাবাসীর জন্য উদ্বেগের।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।