অপরাধ জগতের মূর্তিমান আতঙ্ক ছাত্রলীগ নেত সারোয়ার
সুরমা টাইমস রিপোর্টার : সিলেটের অপরাধ জগতের মূর্তিমান আতঙ্ক ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন। নগরীর টিলাগড়ে অপরাধ রাজ্য গড়ে তুলেছিল এই শীর্ষ সন্ত্রাসী সরওয়ার । চিহ্নিত ছিনতাইকারী হিসেবে কোতোয়ালি থানায় অপরাধীর তালিকায় তার ছবি ও নাম টানানো ছিল। দলীয় পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে এ সব ম্যানেজ করে ফেলে সে। তার ভয়ে তটস্থ ছিলেন সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার আলমপুর ও টিলাগড় এলাকার মানুষ। সুত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সরকারি অফিসে চাঁদাবাজী ছিলো সরওয়ারের আয়ের অন্যতম উৎস। যেমন সেটেলমেন্ট অফিস, আলমপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিক্ষা অফিস ইত্যাদি। এ সব সরকারি অফিস থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী করতো।
সুরমার দু’তীরে অপরাধ রাজ্য গড়ে তুলেছিল সিলেটের এই শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সরওয়ার । প্রতিবাদ করলেই অস্ত্র নিয়ে তাড়া করতো। হুমকির পর হুমকি দিয়ে নিকটজনকেও দমিয়ে রাখতো। ২০২০ সালের ২০ মে নগরীর মিরবক্সটুলা এলাকার এক মহিলার ২০ হাজার টাকা ও চেকবই ছিনতাইয়ের মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে ২০১৯ সালের ৯ মে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতকে ধর্ষণ ও ছোরা দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেয় ছাত্রলীগ নামদারী সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় ১৪ মে দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ সারোয়ার হোসেনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৪ মে বেলা ১টার দিকে সিলেট নগরীর বন্দর বাজার কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে সারোয়োর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরোদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুত্র জানায়, সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সে গা ঢাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপরে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারে বার বার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় তাই তার বক্তব্য লওয়া সম্ভব হয় নি।
এ ব্যাপারে সিলেট শাহপরান থানার ওসি মোঃ মনির হোসেন জানান,যারা অপরাধীর তালিকা আছে তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম জানান, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।