সাবেক তিন মন্ত্রী ও গোয়াইনঘাটের ৫ শীর্ষ চাঁদাবাজসহ ১০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সুরমা টাইমস ডেস্কঃঃ

 

সিলেটে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রবাসী ও বৈদেশীকল্যান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সাবেক গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল জলিল গোয়াইঘাট উপজেলার দপ্তর সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক মন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দানকারী সদ্য পদত্যাগকৃত অধ্যক্ষ ফজুলল হক, তার আপন ভাই আওয়ামীলীগ নেতা সামছুল আলম উরফে কালা সামছুসহ মন্ত্রীর সহযোগী চাঁদাবাজসহ ১০৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার গুরকচি গ্রামের বাসিন্দা মদরিছ মিয়ার ছেলে মোঃ জাকারিয়া (৪০)।

 

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই সিলেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ নভেম্বর নির্দেশে দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী হুসেন চৌধুরী।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের আমির মিয়া স্কুল মাঠে সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম এমপির জনসভার আয়োজন করা হয়।

সেখানে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগীতায় জাফলং এলাকায় মন্ত্রীর নিজস্ব লোক হিসাবে পরিচিত চাঁদাবাজরা আওয়ামী লীগের এইসব শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে স্থানীয় দেশীয় অস্ত্র-সজ্জায় সজ্জিত হয়ে সমাবেশ পন্ড করে দেয়। ঘটনাটি বিগত ২৭শে ডিসেম্বর ২০১৮ ইং বিকেল ৪ ঘটিকার সময় ঘটে।

 

সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী সিলেট নগরীর সাদিপুর এলাকার রুমন আহমদ, তৎকালীন সময়ের গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল জলিল (৫০), গোয়াইনঘাট আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক (চেয়ারম্যান) মুজিবুর রহমান (৫৫), আওয়ামী লীগ সিলেট জেলার সদস্য হাজী সুরাব আলীর ছেলে ফজলুল হক (৬০) তার ভাই সামসুল আলম উরফে কালা সামছু (৬২), এসআই পিযুষ দাস (৩৮) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য ইমরান হোসেন সুমন উরফে জামাই সুমন (৪৫)।

 

গোয়াইনঘাট উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নয়াবস্তির বাসিন্দা মন্তজির আলীর ছেলে সবেদ মিয়া, নয়াবস্তীর ইনছান আলীর পুত্র আলীম উদ্দিন, বিশ্বনাথ উপজেলার তীরগ্রাম (ডাকাতের গ্রাম) এর বাসিন্ধা ও বর্তমান পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে ফয়জুল ইসলাম উরফে বিশ্বনাথী ফয়জুল থানার সাবেক এসআই নাসির উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ১০৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

 

উল্লেখিত মামলার আসামী জামাল উদ্দিন, মারুফ আহমদ, হেলাল আহমদ, ফয়জুল ইসলাম, জহির উদ্দিন, আলীম উদ্দিন, সিরাজ মিয়া, আনোয়ার হোসেন, গহর মিয়া, ইব্রাহিম, আব্দুল মুতলিব, সোহাগ আহমদ সহ আসামীরা সভায় অংশ নেওয়া বিএনপিসহ অঙ্গসঙ্গ গঠনের নেতাকর্মীদের উপর অর্তকৃত ভাবে হামলা করে রক্তারক্ত যখম করে।

সে সময় মামলা করেতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। মামলার বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে পিবিআই সিলেট তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ঠা নভেম্বর নির্দেশে দিয়েছেন আদালত।

 

মামলার বাদী জাকারিয়া জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য থানাসহ প্রসাশনের নিকট দারস্থ হলে ও মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। উল্টো বিভিন্ন মামলায় আসামি করা ও গুম করে দেওয়ার হুমকি ও প্রদান করা হয়।

 

এমতাবস্থায় বিগত ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে দেশে আইনের সুশাসন কায়েম হলে আমি আদালতে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেই।

পরবর্তী ১৮ই সেপ্টেম্বর সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-০১ মামলা দায়ের করি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।