নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুলের জানাজা সম্পন্ন
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
রাজধানীতে বিএনপির গতকালের সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মো. আমিরুল ইসলামের জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে তা সম্পন্ন হয়।
আজ রবিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত কনস্টেবল আমিরুল ইসলামের জানাজায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, এসবি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রথমে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, পরে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জাননো হয়।
এরপর গার্ড অব অনার দেওয়া হয় পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে। শেষে তার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
নিহত পুলিশ সদস্য পারভেজের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী ইউনিয়নের বোটঘর গ্রামে। সম্প্রতি নদী ভাঙনের কবলে পরে তারা নাগরপুরে বাড়ি করেছেন।
গতকাল শনিবার (২৮শে অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে হামলার শিকার হওয়া পুলিশ সদস্যকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে গতকাল পুলিশের সঙ্গে রাজধানীতে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল বিনিময়, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে কাকরাইল, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, রাজারবাগ, সার্কিট হাউস রোড, আরামবাগসহ বিস্তীর্ণ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিজয়নগরে বিএনপি কর্মীরা একজন পুলিশ সদস্যকে একা পেয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।
পরে আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দেখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ছাত্রদলের এক নেতা ওই পুলিশ সদস্যকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। এর প্রমাণ রয়েছে।