সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা বলেছেন, আমরা শংকাহীন পরিবেশে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের সাথে আমাদের সকল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করতে চাই। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি শারদীয় দূর্গা পূজা যতই এগিয়ে আসছে, প্রতিমা ভাংচুরও ততই বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই প্রতিমা ভাংচুর হচ্ছে, কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক কোন বিচার হচ্ছে না। যে কারণে দুষ্কৃতিকারীরা উৎসাহিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, শারদীয় দূর্গা পূজা চার দিনের পূজা হলেও মাত্র এক দিনের সরকারি ছুটি দেয়া হয়। আমাদের দাবী- চার দিনের শারদীয় দূর্গা পূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষনা করতে হবে।
তিনি শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শ্রী শ্রী ভোলানন্দ গিরী আশ্রমে পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থ চয়ন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জন চন্দ্র ঘোষ এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টচার্য্য।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বর্তমান ক্ষমতাশীন দল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে ৭ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। বক্তারা শারদীয় দূর্গা পূজার প্রাক্কালে প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দিরে হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জড়িতের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন পূজা পরিষদ সিলেট জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈালেন কুমার কর। বার্ষিক হিসাব উপস্থাপন করেন পূজা পরিষদ সিলেট জেলার কোষাধ্যক্ষ বিদ্যুৎ কান্তি সেন।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পূজা পরিষদ সিলেট জেলার উপদেষ্ঠা মুক্তিযোদ্ধা রুমা চক্রবর্তী, এডভোকেট প্রহল্লাদ চন্দ্র দেব, কার্য নির্বাহী সদস্য এডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, মহানগর সাবেক সভাপতি সুব্রত দেব, জেলা সহ সভাপতি অদ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস, কৃপেশ পাল, কাঞ্চন কুমার দেব,
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দেব, মহানগর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এপেক্সিয়ান চন্দন দাস, জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অখিল বিশ্বাস, সদস্য মানিক লাল দে, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নিতু কান্ত দাস, সদস্য রনজিত চন্দ্র চন্দ সন্তোষ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সামন্ত ধর, প্রচার সম্পাদক রজত চক্রবর্তী, সহ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নবেন্দ্র মহাপাত্র, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক লিপ্টন রঞ্জন তালুকদার, জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি সঞ্জয় চন্দ্র নাথ,
বালাগঞ্জ উপজেলা সভাপতি রজত চন্দ্র দাস ভুলন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি বিজন দেবনাথ, বিশ্বনাথ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীল কান্ত দে, গোয়াইনঘাট উপজেলা সভাপতি সুবাস চন্দ্র পাল ছানা, কানাইঘাট উপজেলা সভাপতি ভজন লাল দাস, গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক রজত কান্তি দাস, জৈন্তাপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দেব,
বিয়ানীবাজার উপজেলা সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চন্দ্র সরকার।
উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা সদস্য সুব্র কান্ত দাস চন্দন, পূজা সম্পাদক সন্দিপ দত্ত টিপু, মহিলা সম্পাদিকা মালা রানী দে, সহ মহিলা সম্পাদিকা সিবানী দে, সঞ্জিপ ঘোষ চৌধুরী, বিশ্বানাথ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাস, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সিপন পাল,
গোলাপগঞ্জ উপজেলা সভাপতি অনিল কান্ত পাল, গোয়াইনঘাট উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ দাস, জৈন্তাপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিবারন চন্দ্র দাস, কানাইঘাট সাধারণ সম্পাদক অলক চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভায় আগামী ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জন সিলেটের চাঁদনী ঘাটে বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং উপজেলা পর্যায়ে সন্ধ্যার পূর্বেই প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম শেষ করার আহবান জানানো হয়।
সিলেট জেলার এবার ১১টি উপজেলায় সর্বমোট সার্বজনীন ৪৩৯ এবং পারিবারিক ৩৪টি সহ মোট ৪৭৩টি দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে সভায় উপজেলা সমূহের পূজা মন্ডপে শান্তি শৃঙ্খলা ও ভাবগাম্ভীর্যতার মধ্য পূজা সম্পাদক করার লক্ষে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।