সুপারশপে বিক্রয়কর্মী তরুণীকে ছুরিকাঘাত, যুবক আটক
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
সুপারশপে ঢুকে এক বিক্রয়কর্মী তরুণীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলায়। আহত তরুণীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক হাবিরুল ইসলাম অভিকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। অভি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ছবিরউদ্দিন শেখের ছেলে।
আহত বিথি খাতুন অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের মেয়ে। তিনি নওয়াপাড়া বাজারের একটি সুপারশপে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। গ্রেপ্তার অভি তার সাবেক স্বামী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ-২১-৩০৪৮) সুপারশপের সামনে থামে।
এ সময় প্রাইভেট কার থেকে এক যুবক সুপারশপের ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে বিথির সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে প্রাইভেট কার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানতে পারলে প্রাইভেট কারটি নূরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আটকে চালক এবং ওই যুবককে পিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ চালকসহ হামলাকারী যুবককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
বিথি খাতুনের চাচা জাকির হোসেন বলেন, ‘২০২১ সালে অভির সঙ্গে আমার ভাইজির বিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকে বিথিকে পথেঘাটে বিরক্ত করে আসছিল অভি। আজ দুপুরে ভাইজির কর্মস্থলে ঢুকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে এলাপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে অভি পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।’
অভিযুক্ত হবিরুল ইসলাম অভি বলেন, ‘বিথি মোবাইল করে আমাকে সুপারশপে আসতে বলে।
সেখানে পৌঁছলে সে আমার কাছে একটি দোতলা বাড়ি ও ২০ লাখ টাকা দাবি করে। দাবি পূরণ করলে সে পুনরায় বিয়ে করে আমার ঘরে ফিরে যাবে বলে আশ্বাস দেয়। শর্তে রাজি না হলে সে আমার ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে বাঁচার জন্য কাছে থাকা ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করি। নিজেকে বাঁচানোর জন্য ছুরিকাঘাত করতে বাধ্য হয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. গোবিন্দ পোদ্দার জানান, ছুরিকাঘাতে আহত বিথি খাতুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে ২টার দিকে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘নূরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আহত অবস্থায় হবিরুল ইসলাম অভি নামের এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সুপারশপে কর্মরত ওই নারীর সঙ্গে আটক যুবকের পূর্বের কোনো সম্পর্ক ছিল। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে।’