প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে শেষ নবী অস্বীকারকারী আহমদিয়া মুসলিম ছদ্মনামধারী কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষনার দাবিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টায় সিলেট থেকে উলামা পরিষদ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উলামা পরিষদ বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মহি উদ্দিন এর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন উলামা পরিষদ বাংলাদেশ এর নির্বাহী সদস্য, শামীমাবাদ মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামিম আহমদ, নয়াসড়ক মাদ্রাসার মুহতামিম শায়েখ মাওলানা সাইফুল্লাহ, নির্বাহী সদস্য নুমানী চৌধুরী, পরিষদের অর্থ সম্পাদক মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ খাসদবিরী, সুনামগঞ্জ থেকে উপস্থিত ছিলেন, মাদানিয়া সুনামগঞ্জ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল বছির, সুনামগঞ্জ আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শাহ আনোয়ার হুসাইন।
স্বারকলিপীতে অন্যান্য দাবী দাওয়ার পাশাপাশি বিশেষভাবে সুনামগঞ্জের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হয় যে, সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন ২নং গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের নোয়াগাঁও, বেড়াজালী ও নলওয়ার পার গ্রামে এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলাধীন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের বীরগাঁও গ্রামে ওরা নিজেদের আস্তানা গেড়ে বসেছে। আমাদের অনেক সরল-সহজ মুসলমানদেরকে ফুসলিয়ে ধর্মান্তরিত করছে। এমনকি ওরা সেখানে আহমদিয়া মসজিদ নামে উপাসনালয়ও তৈরি করেছে। অথচ তাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ ও দাওয়াত দিতে গিয়ে স্থানীয় উলামায়েকেরামকে সুনামগঞ্জের প্রশাসন বাধাদিচ্ছে। তাই ঐসব স্থানে দাওয়াতী কাজে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
উল্লেখ্য, কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলিম পরিচয় দেওয়ার অধিকার রাখে না। মুসলমানদের ধর্মীয় শব্দাবলী ব্যবহারের কোন অধিকার তাদের নেই। হিন্দু, খৃস্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মের মত তারা কাদিয়ানী ধর্মমত হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারবে; তবে কোনভাবেই নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিতে পারবে না। আমাদের মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন মাযহাব ও মাসলাক রয়েছে।
কিন্তু খতমে নবুওয়াতের ব্যাপারে বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে কোন বিভাজন নেই। এই অভিশপ্ত কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে বিগত (২৭ মে) শনিবার সিলেট রেজিস্ট্রি মাঠে উলামা পরিষদ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সিলেট বিভাগীয় খতমে নবুওয়াত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
—বিজ্ঞপ্তি