রেঞ্জাররা সু-শৃঙ্খল জীবনের শিক্ষা অর্জন করে: প্রফেসর কবির আহমদ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন সিলেট অঞ্চল আয়োজিত ৩দিন ব্যাপী আঞ্চলিক রেঞ্জার ক্যাম্প সম্পন্ন হয়েছে।গত মঙ্গলবার (৬ জুন) দক্ষিণ সুরমা লতিফা শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এই সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিশনার বাবলী পুরকায়স্থ।
দক্ষিণ সুরমা সরকারি হাইস্কুলের ওয়ারেন্ট গাইডার ও সহকারী শিক্ষক পূর্ণিমা রানী দাশ তালুকদার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট এর সচিব প্রফেসর মো. কবির আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর অরুন চন্দ্র পাল, লতিফা শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল আলম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সিলেট এর হিসাব রক্ষণ অফিসার নিহার রঞ্জন রায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মো. কবির আহমদ বলেন, সুশৃঙ্খল জীবন-যাপনের জন্য বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন অন্যতম ভূমিকা রাখছে। স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত ছাত্রীদের নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ এবং মেধাবী করে গড়ে তুলেন। গার্ল গাইডস এর সদস্যরা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। ৩য় আঞ্চলিক রেঞ্জার ক্যাম্প থেকে অর্জনকৃত অভিজ্ঞতাকে তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক সেক্রেটারী সাহানা জাফরীন রোজী, আঞ্চলিক কোষাধ্যক্ষ চৌধুরী ফেরদৌস আরা কামাল, জেলা কমিশনার সিদ্দিকা খাতুন, সদস্য শাহানা বেগম, স্থানীয় কমিশনার শারমিন সুলতানা, ঢাকা গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাই হিউম্যান সাইন্সের সাজেদা খাতুন, লতিফা শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রি কলেজের মোছাম্মৎ মাহবুবা খানম চৌধুরী,
সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের তাসনীম বেগম, দক্ষিণ সুরমা সরকারি হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক ও গাইডার অলকা দাশ, ট্রেইনার সুফিয়া বেগম।
৩দিন ব্যাপী এই ক্যাম্পে ঢাকা গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাই হিউম্যান সাইন্স আজীমপুর ঢাকার ১৫ জন সদস্য সহ সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলের ৮২জন রেঞ্জার অংশগ্রহণ করে।
এছাড়াও রেঞ্জের শির্ক্ষার্থীরা ৩দিন ব্যাপী এই ক্যাম্পে শিক্ষা সফরে সাদাপাথর সহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা পরিদর্শন করেন। সমাপনী দিনে শিক্ষার্থীদের নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।