দক্ষিণ সুরমায় কিশোরী অপহরণ একমাসেও অধরা আাসমি তুহিন
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ভার্থখলা এলাকা থেকে থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর ভাই বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় প্রথমে একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরী করেন।
পরে কিশোরী অপহরণকারীর সন্ধান পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় গত ৫ মে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার থানা মামলা নং-০৭, (তারিখ-০৫-০৫-২০২৩ ইং)।
কিন্তু মামলার একমাস পেরিয়ে গেলেও অপহরণকারী তুহিন আহম্মেদ (২৪)কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার আসামি তুহিন আহম্মেদ (২৪), সে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল এলাকার কালোমুড়া গ্রামের শরিফ আহম্মেদের ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ভার্থখলা এলাকা থেকে একদল বখাটে যুবকদের সাথে নিয়ে ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে অপহরণ জোরপূর্বক করে নিয়ে যায় তুহিন আহম্মেদ। এরপর তার পিতা শরিফ আহম্মেদ ওই কিশোরীর ভূয়া জন্ম সনদ তৈরি করে তুহিনের সাথে বিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি সূত্র।
এই বিয়ের বিষয়টি লোকমুখে বলে বেড়াচ্ছে তুহিনের পিতা। অথচ স্কুল সার্টিফিকেট ও জন্ম সনদ অনুযায়ী ওই কিশোরীর বয়স ১৩ বছর। কি ভাবে শরিফ আহম্মেদ তার বখাটে ছেলে তুহিনের সাথে ওই কিশোরীর বিয়ে দিয়েছে।
এ নিয়ে কানাইঘাট উপজেলার বীরদল এলাকার কালোমুড়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে আলোচনার ঝড় ? তাছাড়া দক্ষিণ সুরমা থানায় দায়ের করা এই অপহরণ মামলার কোন তোয়াক্কা করেনি তুহিনের পিতা।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই শশধর বিশ্বাস জানান, আমি আসামিকে খোঁজছি তার সন্ধান পেলেই তাকে গ্রেফতার করবো।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা (পিপিএম) এর সাথে মুঠোফনে ৮.৫৭ মিনিটের সময় একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফন রিসিভ করেননি।