শফিউল আলম প্রধানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী কাল

আগামীকাল ২১ মে রবিবার আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের সিংহপুরুষ আপোষহীন রাজনীতিবিদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম শফিউল আলম প্রধানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী ।

শফিউল আলম প্রধান ২০১৭ সালের এই দিনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন সাচ্চা রাজনীতিক। ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রাম, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দৃশ্যমান এই রাজনীতিবিদকে জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। দেশের ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাঙালি জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন শফিউল আলম প্রধান।

শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে (কন্যা) জাগপা’র বর্তমান সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, দেশের বর্তমান গভীর সংকটে শফিউল আলম প্রধানের খুবই প্রয়োজন ছিলো। তিনি দেশ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করেননি। বরং শফিউল আলম প্রধান বিভিন্ন সরকারের আমলে এমপি-মন্ত্রীর প্রস্তাব পেয়েও তা প্রত্যাখান করেছেন। তিনি কখনো পরিবার ও নিজের জন্য রাজনীতি করেন নাই। শফিউল আলম প্রধান আজীবন দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।

তিনি ১৯৭৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা গঠন করেন। এই জাগপার ব্যানারে তিনি দেশ মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আগ্রাসনবিরোধী এবং দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি রাজপথে ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, তিস্তার পানি, দহগ্রাম আংগুরপোতা লংমার্চ, টিপাইমুখ বাঁধের বিরোধিতা, বেরুবাড়ী লংমার্চ, ইয়াসমিন হত্যা আন্দোলন, সীমান্ত হত্যাসহ নানাবিধ ইস্যু নিয়ে বছরের পর বছর আন্দোলন করেছেন। এ জন্য প্রতিটি সরকারের শাসনামলেই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।

শফিউল আলম প্রধানের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি পঞ্চগড় জেলার টোকরাভাষা গ্রামে। তিনি তৎকালীন প্রাদেশিক পাকিস্তানের আইন পরিষদের স্পীকার এড. মৌলভী গমির উদ্দিন প্রধানের ৩য় ছেলে। ১৯৬৮ সালে শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজের নির্বাচিত জিএস এবং ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়া অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৭৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ ছাত্রলীগের পক্ষে ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করে গ্রেফতার হন।

এদিকে শফিউল আলম প্রধানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আগামী ২১ মে-২৩ (রবিবার) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে।

 

 

—বিজ্ঞপ্তি ।।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।