‘লাঙ্গল মার্কার বিজয় মানেই সিলেটবাসীর বিজয়’

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, ‘আমি এই নগরীর সন্তান। এই শহরেই আমার বেড়ে ওঠা, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি সবই এখানে। আমার জন্ম দক্ষিণ সুরমার তেতলী গ্রামে। সোবহানীঘাটের সবজি ব্যবসায়ীদের ৯৫ ভাগই আমাদের গ্রামের লোক। আমি আপনাদের ছেলে, ভাই, বন্ধু হিসেবে আপনাদের কাছে দাবি নিয়ে এসেছি।
বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার পল্লীবন্ধু হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি থেকে আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি আমি। আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা, সমর্থন রয়েছে বলেই আমি এতদূর আসতে পেরেছি। ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী ২১ জুন লাঙ্গল মার্কা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। মনে রাখবেন, লাঙ্গলের বিজয় মানে জনতার বিজয়৷ লাঙ্গলের বিজয় মানেই সিলেটবাসীর বিজয়।
তিনি বলেন, আমি নিজে ব্যবসায়ী, তাই ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা বুঝি। আমি সিলেট চেম্বারের একাধিকবার পরিচালক পদে জয়ী হয়েছি ব্যবসায়ীদের ভোটে। কিন্তু কষ্ট লাগে, যখন দেখি একটা ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আমার ব্যবসায়ী ভাইদের কতটা কাঠখড় পোড়াতে হয়।ইনশাআল্লাহ আপনাদের কথা দিচ্ছি, আমি মেয়র হলে সিলেটের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অতীতের যে সকল মেয়র এসেছেন, তারা লোক দেখানোর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। বাস্তবিক অর্থে নগরবাসীর জীবনমানের কোনো উন্নয়নই হয়নি। সিটি কর্পোরেশন থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ জনগণ। নগরবাসী আজ ত্যক্তবিরক্ত। তারা পরিবর্তন চান। সিলেটের আবালবৃদ্ধবনিতার প্রথম পছন্দ লাঙ্গল মার্কা।’
সোমবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটস্থ হাজী নওয়াব আলী সবজি মার্কেট, সিলেট ট্রেড সেন্টার এবং বেলা ১টায় মহাজনপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মাঝে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, হাজী নওয়াব আলী সবজি মার্কেটের উপদেষ্টা হাজী তেরা মিয়া, সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুল শহীদ লস্কর বশীর, সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবুল হাসনাত বারাকাত, সিলেট ট্রেড সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা দারা মিয়া, ছালেক মিয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি আলেক মিয়া, সহ সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রাজু মিয়া,
হাজী নওয়াব আলী সবজি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি আফরোজ মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক সোলেমান মিয়া, বিপ্লব মিয়া ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক গয়াছ মিয়া, জেলা যুব সংহতির আহবায়ক মর্তুজা আহমদ চৌধুরী, জাপা নেতা মুরাদ আহমদ শাহীন, মোহাম্মদ সুফিয়ান খান, আব্দুল হান্নান রুমন, সেবুল হোসেন তালুকদার,  মো. নূর মিয়া, সাহেদ আহমদ, আব্দুল হান্নান চৌধুরী, মামুনুর রশীদ মামুন, দীপঙ্কর দে, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল আহাদ, মুক্তা মিয়া, মোস্তাক আহমদ প্রমুখ। ব্যবসায়ী তাজুল মিয়া, দেলোয়ার মিয়া, মাসুক কাজী, আব্দুর রবসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

 

—বিজ্ঞপ্তি ।।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।