নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃ
মেলার ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্রে মিম্বরে টাওয়ারের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ‘বিবিয়ানা রেস্টুরেন্ট’।
মেলার মূল লক্ষ্য হলো—তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাকে উৎসাহিত করা, স্থানীয় পণ্যের প্রচার বাড়ানো এবং আত্মনির্ভরশীল সমাজ গড়ে তোলা।
মেলায় রয়েছে মোট ১৭টি স্টল, যেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে হোমমেড খাবার, কেক, মেহেদি ডিজাইন, ফ্যাশন সামগ্রী, গিফট আইটেমসহ নানা পণ্য। ইতোমধ্যেই মেলা দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
হোমমেড খাবার, কেক ও আচার নিয়ে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা মদিনা আক্তার জাকনা বলেন, “যেসব মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়, তাদের জন্য এমন মেলা বড় সুযোগ।
নকশী কাঁথা ও শাড়ি নিয়ে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা শিল্পি তালুকদার বলেন, “নকশী কাঁথা আমাদের সংস্কৃতির একটি অমূল্য অংশ।
মেলায় আশা কলেজ ছাত্র রাজু বলেন, “নবীগঞ্জে এমন আয়োজন আগে কখনও দেখিনি। অনেক কিছু শেখার আছে, কেনাকাটাও সাশ্রয়ী মূল্যে করা যাচ্ছে। উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।”
মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য সোহাগ বলেন, “তরুণরা যেন শুধুমাত্র চাকরির পেছনে না ছুটে, উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে—এই লক্ষ্যেই আমাদের আয়োজন। সবাই পাশে থাকলে প্রতিবছর এ ধরনের মেলা আয়োজন সম্ভব হবে।”
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছনি আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা পজীপ কর্মকর্তা সাকিল আহমদ, আনন্দ নিকেতনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বখত চৌধুরী,
মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইউএনও মো. রুহুল আমিন বলেন, “উদ্যোক্তাদের কাজের গুণগত মান চমৎকার।
এই উদ্যোক্তা মেলাটি নবীগঞ্জের তরুণ সমাজকে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে—এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।