সুরমা টাইমস ডেস্ক :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিন্ডিকেট সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, “অতীতের মতো এবারও দেশের মানুষ বিএনপির প্রতি নতুন করে আশাবাদী হয়েছে।
এই প্রত্যাশা পূরণে শিক্ষাঙ্গন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও ন্যায়ের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনর্গঠনের কার্যকর সূচনা শিক্ষাঙ্গন থেকেই শুরু করা প্রয়োজন।”
গতাল বৃহস্পতিবার (২৪শে এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারস্থ গ্র্যান্ড বাফেট রেস্টুরেন্টে শাবিপ্রবি জাতীয়তাবাদী পরিবারের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী আরও বলেন, “একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রয়োজন মেধাবী, নীতিনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই নেতৃত্ব তৈরির প্রধান ক্ষেত্র। জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন ছাত্রসমাজই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”
শাবিপ্রবি সম্পর্কে ব্যক্তিগত আবেগ ও অঙ্গীকার প্রকাশ করে তিনি বলেন, “শাবিপ্রবি সিলেটের প্রাণের শিক্ষাঙ্গন। এর সার্বিক উন্নয়নে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ফ্যাসিস্ট শাসনের সময়ে যে সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার এবং গবেষণার প্রসারে আমি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই।”
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শাবিপ্রবির সাবেক সাকসু জিএস শাব্বির চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গনিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আশরাফ উদ্দিন, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. এস. এম. খুরশিদ আলম, প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. শাহ মো. আতিকুল হক, প্রফেসর ড. খালিদুর রহমান,
প্রফেসর ড. পাবেল শাহরিয়ার, প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, প্রফেসর ড. এ. এম. জাকারিয়া, প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ও প্রফেসর ড. রেজোয়ান আহমদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শাবিপ্রবির ডেপুটি কন্ট্রোলার মখলিছুর রহমান পারভেজ। আরও বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও সাস্টিয়ান ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মোশতাক আহমেদ কয়েছ, শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার।
শাবিপ্রবি জাতীয়তাবাদী পরিবারের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। বক্তারা বলেন, “আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর নিরপেক্ষতা, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনবে এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”