নবীগঞ্জে যুবলীগ সভাপতি আশাহিদ আলী আশা অধরা !

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও ক্ষমতা আর দাপট কমেনি নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ডেভিল আশাহিদ আলী আশার।

 

যুবলীগের প্রভাবশালী সভাপতি আশাহিদ আলী আশা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ আশার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

বিগত আওয়ামীলীগের আমলে আশাহিদ আলী আশা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকদের হয়রানী করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আওয়ামী লীগের দুসর আশাহিদ আলী আশা কর্তৃক বিভিন্ন হয়রানীর শিকার হয়ে প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নবীগঞ্জ থানার ওসির বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন করগাঁও গ্রামের ভুক্তভোগী মো. আব্দুস সালাম। জানা গেছে, আশাহিদ আলী আশা দীর্ঘদিন ধরে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রভাব বিস্তার করে মানুষকে হয়রানী করে আসছে।

 

আওয়ামী লীগের শাসনামলে আশাহিদ আলী আশা এলাকায় এক প্রকার অঘোষিত শক্তি হিসেবে কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে যে, আশাহিদ স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার কাজে লিপ্ত ছিল।

 

তবে, এসব অভিযোগ থাকা সত্তে¡ও দেশে পট-পরিবর্তনের পরও আশাহিদ আলী আশাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

 

দেশে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও দাপট কমেনি আশার। নিজ এলাকার পাশাপাশি পাশ্ববর্তী করগাঁও ইউনিয়নে ও নবীগঞ্জ শহরে বিভিন্ন মানুষজনকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে আশাহিদ।

 

অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর মাধ্যমে যুবলীগ সভাপতি আশাহিদ আলী আশাকে গ্রেফতার করার জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আব্দুস সালামের পরিবারের সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে একই গ্রামের ফারুক মিয়া ও জাকারিয়া গংদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল।

 

এই সুযোগে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইল চোর বাদল আহমদ ও শফিকুল ইসলাম নাহিদ বাড়ির জায়গা মাপঝোক করেন এবং সালামের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

 

এরপর ৪ মে রবিবার, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের দুসর আশাহিদ আলী আশার নেতৃত্বে পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফারুক মিয়ার পক্ষ নিয়ে সালামের বাড়ির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক বিদ্যুৎ লাইন টানার চেষ্টা করা হয়।

 

এসময় আব্দুস সালাম বাধা দিলে বাদল ও নাহিদ পুলিশের সামনেই সালামের পরিবারের সদস্য ও মহিলাদের গালিগালাজ ও হুমকি দেন।

 

চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদল ও নাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালগুলোতে সালাম পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালায়।

 

যুবলীগের সভাপতি ডেভিল আশাহিদ আলী আশাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার ও নবীগঞ্জ থানার ওসির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।