সুরমা টাইমস ডেস্ক :
বাংলা পপগানের পথিকৃৎ আজম খান। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মৃত্যুর ১৩ বছর পর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আজম খান।
এমন খবরে খুশি তার পরিবারের সদস্যরা। তবে বেঁচে থাকতে এই সম্মান পেলে পরিবারের আনন্দটা দ্বিগুণ হত বলে জানিয়েছেন আজম খানের মেয়ে অরণী খান।
বাবার স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় অরণী বলেন, খবরটি শোনার পর আমাদের পরিবারের সবাই অনেক খুশি।
শুধু একটাই আফসোস, আব্বা জীবিত অবস্থায় এটা দেখে যেতে পারলেন না। এই সম্মানটা অনেক আগেই তাকে দেওয়া উচিত ছিল।
কেন এত দিন দেওয়া হয়নি এই আক্ষেপ কার কাছে করব, আর করেই বা কী লাভ। দেরিতে হলেও রাষ্ট্র তাকে সম্মান দিচ্ছে, তাতেই আমরা খুশি। আব্বা বেঁচে থাকলে আনন্দটা দ্বিগুণ হত।
অরণী আরও বলেন, আব্বা কখনোই অ্যাওয়ার্ড বা পদক নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। তিনি মানুষকে গান দিয়েছেন, বিনিময়ে সবাই তাকে ভালোবাসা দিয়েছেন, এটাই ছিল তার বড় পাওয়া।
বলতাম, আব্বা তুমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যাও না কেন, পুরস্কার নাও না কেন? পুরস্কার পেলে তো আমাদের ভালো লাগে।
আব্বা বলত, মানুষের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ড। ক্রেস্ট তো বাসায় এনে সাজিয়ে রাখব। এটা বড় কিছু নয়।
মানুষের ভেতরে আমার জন্য যে ভালোবাসা জন্মেছে সেটাই আমার বড় পদক। আব্বাই ঠিক ছিলেন। ভালোবাসে বলেই এত বছর পরেও সবাই তাকে মনে রেখেছে।
তিনি মানুষের জন্য গান গেয়েছেন। সেই গানই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরে অস্ত্র হাতে গেরিলাযুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলেন গানের দল ‘উচ্চারণ’। ক্যারিয়ারে ১৭টির বেশি অ্যালবাম রয়েছে তার। ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান এই পপ সম্রাট।