ওসমানী’র ৪১তম মৃত্যু বার্ষিকীতে ওসমানী জাদুঘরে খতমে কোরআন আলোচনা সভা

সুরমা টাইমস ডেস্ক :

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর মো. মোখলেসুর রহমান বলেছেন, ‘বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী শুধুমাত্র একজন সাহসী সেনানায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক নেতা, যাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি হয়েছিল।

তাঁর সংগ্রামী জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদের শেখায় কিভাবে একটি জাতি নিজেদের স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। তাঁর অবদান আমাদের জাতির ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাঁর আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কীভাবে কাজ করতে পারি। আমাদের এই দায়িত্ব কেবল জাতির ইতিহাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্বাধীনতার গুরুত্ব এবং আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস জানানোও প্রয়োজন।

আমরা যদি আমাদের সমাজ ও দেশকে উন্নত করতে চাই, তাহলে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সেই উন্নতি কেবল অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং আমাদের মানবিক মূল্যবোধ, জাতিসত্তার প্রতি শ্রদ্ধা, এবং দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের মধ্য দিয়েই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।’
তিনি গতকাল রবিবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় ওসমানী যাদুঘরের উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী’র ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ওসমানী স্মৃতি ট্রাস্টের ট্রাস্টি এড. নওসাদ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সহকারী কীপার মো. আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, লেখক, ওসমানী গবেষক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা সিনিয়র সাংবাদিক, মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান,

সিলেট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ডিজিএম জসিম উদ্দিন খন্দকার, এডভোকেট নূরুদ্দীন আহমদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, এ,এইচ, চৌধুরী সেলিম।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বিমানবন্দরস্থ তিনটিলা জামে মসজিদের ইমাম ক্বারী মাওলানা ফেরদৌস আলম জাহান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।