সুরমা টাইমস ডেস্ক :
যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে অর্থ পাচারের দায়ে সিলেটে ব্রিটিশ নাগরিকসহ চারজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন প্রামাণিক গত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মিসবাহ উদ্দিন ওরফে রবিন চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী শাহিদা বেগম শান্তি, শ্যালক রিপন সিরাজ ও আব্দুল খালেক ওরফে মাখন উদ্দিন।
রায়ে মিসবাহর ৮ বছর, তাঁর স্ত্রী শাহিদা, শ্যালক রিপন ও মামা খালেকের ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আসামিদের ৮৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি ইবনে আলী মো. লুৎফুল কিবরিয়া শামীম বলেন, ‘শাহিদা ছাড়া বাকিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন আদালত।
অর্থদণ্ড পরিশোধের জন্য ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে দণ্ডিত অর্থ পরিশোধ না করলে আসামিদের প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া আসামিদের ব্যাংকে অবরুদ্ধ টাকাসহ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আনা টাকা ও কেনা সম্পত্তি আদালত রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেছেন।’
দুদক ও আদালত সূত্র বলেছে, সিলেটের জকিগঞ্জের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মিসবাহ ও তাঁর সহযোগীরা মিলে ১৩টি জাল মর্টগেজ আবেদনের মাধ্যমে ৫০ লাখ পাউন্ডের বেশি অর্থ আত্মসাৎ করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৬ জুন যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের এক চিঠির ভিত্তিতে মিসবাহ রবিন চৌধুরীর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মিসবাহ লন্ডনের এফএলপি সলিসিটরস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার থাকাকালে ২০০৭-০৮ সালের মধ্যে নিজ নামে মোট ১৩টি জাল মর্টগেজ আবেদনের মাধ্যমে এই মানি লন্ডারিং করেন।
২০১১ সালের আগস্টে লন্ডনে গ্রেপ্তার হন মিসবাহ। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দুদক সিলেটের কোর্ট পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শাহিদা পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন আদালত।
এ ছাড়া অন্য তিন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।