নিজস্ব প্রতিবেদক::
সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে সিলেটের ৩ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে তাকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিলেট নগরীর একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তোলা হয়।
আদালত ওই মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এছাড়া সাবেক মন্ত্রী ইমরানকে গোয়ানইঘাট উপজেলার ‘ট্রিপল মার্ডার’সহ আরও দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ইমরান আহমদকে আদালতে আনার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার নির্বাচনি এলাকা সিলেট-৪ আসনের বিক্ষুব্ধ জনতা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন। তারা তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন এবং ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন।
সিলেটের কোতোয়ালি থানায় শিক্ষার্থী পঙ্কজ কুমার নাথ হত্যা মামলায় এবং গোয়াইনঘাট উপজেলার ত্রিপল মার্ডার মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মোট তিনটি মামলার শুনানিতে জামিনের আবেদন করলে দুটি হত্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
আইনজীবীরা জানান, দুটি গুরুতর হত্যা মামলার জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় ইমরান আহমদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় আসামির পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তবে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাসিস্টান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আলী হায়দার ফারুক।
এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গোয়াইনঘাট উপজেলার সোনারহাট বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় সংঘর্ষে সুমন আহমদ নিহত হন।
এ ঘটনায় সুমনের বাবা আব্দুন নুর বিলাল বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। যেখানে ইমরান আহমদকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট থানায় মারামারির মামলাতেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মন্ত্রীসভার সদস্য ও দলের অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। পরে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২১শে অক্টোবর রাতে রাজধানীর বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।