সুরমা টাইমস ডেস্ক :
আগ্রাসন বিরোধী লড়াই সুসংহত করতে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নাম বদল করে ‘আমজনতার দল’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে প্রতীম জামান টাওয়ারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ পাওয়া দলটির আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান একথা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গণঅধিকার পরিষদ তার নাম পরিবর্তন করে এখন থেকে আমজনতা দল নামে পরিচিত হবে।
এই পরিবর্তন আমাদের আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ের সাংগঠনিক রূপান্তরের প্রতীক এবং জনগণের সঙ্গে আরও সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি নতুন প্রয়াস।দোয়া করবেন যেন, আমজনতার দলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারি।
আমরা যেন কখনই পিছপা না হই, সার্বভৌম ও সুশাসনের বাংলাদেশ নির্মাণে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অবদান রাখতে পারি।
পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যায় মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বেশ কিছু নৈতিক ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নের দুই ভাগে বিভক্ত হয় ২০২৩ সালের ২০ জুন।
কাছাকাছি দুই দলের একই নাম হওয়ায় আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি ও অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছিল। আগ্রাসন বিরোধী লড়াইকে আরও সুসংহত ও বিস্তৃত করতে আমাদের পূর্বের সহযোদ্ধাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এমন নাম পরিহার করতে আমরা পূর্বের নাম গণঅধিকার পরিষদের পরিবর্তন করে ‘আমজনতা দল’ নামকরণ করছি।
আজ থেকে আমার মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের অংশের নাম ‘আমজনতার দল’ নামে পরিচিত হবে।
তিনি বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে আমাদের দলের ৭ সহযোদ্ধা জীবন দান করেছেন, শতাধিক আহত হয়েছেন।
আমাদের দলটি অতীতে যেমন ছাত্র, যুবক, প্রবাসী, পেশাজীবী এবং পেশাজীবী নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের পক্ষে কাজ করেছে, ভবিষ্যতেও একইভাবে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
আমজনতার দলের মূলনীতি তিনটি। এগুলো হচ্ছে, সার্বভৌমত্ব, স্বনির্ভর ও সুশাসন। দলটির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বনির্ভর অর্থনীতি ও সুশাসনে সমৃদ্ধি’।
২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দলটি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন রেজা কিবরিয়া। একপর্যায়ে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের নেতৃত্বে দলটির একাংশ এবং মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বে অপরাংশ গঠিত হয়।
নুরুল হক নুর ও মিয়া মশিউজ্জামানের দুই গণঅধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে যুগপৎভাবে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করে। নুরের গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনেরও নিবন্ধনে পেয়েছে।