সুরমা টাইমস ডেস্ক :

জামিন পাওয়ার পর পরী বলেন, ‘আইনের ওপর বিশ্বাস ছিল। আর একদম শুরু থেকেই আপনারা যেভাবে আমাকে সাপোর্ট করেছেন, যতটা পেরেশানিতে ছিলেন, তা দেখে আমার নিজের যত দুঃখ ছিল, সেটা ঘুচে গেছে।’

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন পরীমণি।

গতকাল সোমবার (২৭শে জানুয়ারি) ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এরআগে গত রোববার ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জুনায়েদের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

এদিন মামলার চার্জগঠন শুনানিতে পরী মণির হাজিরের দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরী মণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে ২০২০ সালের ৬ই জুলাই আদালতে নাসির উদ্দিন এ মামলা করেন। মামলায় পরী মণিছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পরী মণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন।

এরপর নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করাসহ মদের বোতল বিনামূল্যে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু না দিতে চাইলে ক্লাব ভাঙচুর করেন পরী মণি।

এরপর রাত সোয়া ১ টার দিকে বাদী নাসির ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে ডাক দেন।

একপর্যায়ে পরী মণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য চাপ দেন।

বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরী মণি গালমন্দ করেন। তাদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরী মাণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ই জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে পরী মণি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন। পরীমণির বিরুদ্ধেও মাদক মামলা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।