সুরমা টাইমস রিপোর্ট : আধাত্বিক নগরী সিলেট এখন পাপ রাজ্যে পরিনত হয়ে উঠেছে। এতো দিন ছোট নেতা ও পাতি নেতার নামে এসব অপরাধ বানিজ্য চললেও এখন এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে অদৃশ্য ছায়ায়। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নগরীর বেশির ভাগ আবাসিক হোটেলে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। শুধু তাই নয় এর সাথে পাল্লা দিয়ে চলে মদ ,জুয়, ইয়াবা ও নারী ব্যবসা সহ নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ড। সুত্র জানায়, সিলেট জুড়ে অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে । গত তিন দিনে ২০ নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ২১ জানুয়ারী নগরীর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আম্বরখানা পয়েন্টস্থ হোটেল নুরানী ও হোটেল আলীবাবা থেকে ২ জন পুরুষ ও ২ জন নারীকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলো ১। মোঃ ফয়ছল আহমদ (২২),পিতা-আবদুল খালিক, মাতা-শাহেনা বেগম, সাং-পীরেরগাঁও, পোঃ সাহেবের বাজার, থানা-এয়ারপোর্ট, জেলা-সিলেট, ২। ওয়াহিদুল হাসান (৩২), পিতা-কাপ্তান মিয়া, সাং-কুসারায়, থানা-জগন্নাথপুর, জেলা-সুনামগঞ্জ, ৩। মোছাঃ শাপলা বেগম (২৩), পিতা-মৃত আব্দুল করিম, মাতা-আমিনা বেগম, সাং-শারপীন টিলা, থানা-তাহিরপুর, জেলা-সুনামগঞ্জ, ৪। মোছাঃ শাহীনা আক্তার সীমা (৩৩), পিতা-আবিদ আলী, মাতা-বিলকিস, সাং-লগ্নসার, থানা-বড়ুরা, জেলা-কুমিল্লা বলে জানা যায়। উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানার নন.এফ.আই.আর মামলা নং-০৮/২৫, তাং-২১/০১/২০২৫খ্রিঃ, ধারা-৭৭ এসএমপি এ্যাক্ট প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। আসামীদেরকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে গত ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ১৬ জন ছেলে-মেয়েকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাদের সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। আটক ছেলেমেয়েরা সিলেটের বিশ্বনাথ ও ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং মৌলভীবাজারের বলে জানিয়েছেন তারা।স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্কে শুরু থেকেই অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এটি নামে পার্ক হলেও রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্রামের কক্ষ। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিকারা এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ চালায়। এ সুযোগে পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) দিন-দুপুরে অন্তত ১৬ ছেলেমেয়ে কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কাজ চালাতে থাকেন। খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে স্থানীয়রা এসে পার্কে হানা দিয়ে তাদের কক্ষের ভেতরেই আটক করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, দরগা, তালতলা কদমতলী, সোবহানীঘাট ও রেলস্টেশন এলাকার অর্ধশতাধিক হোটেলে এখন সুন্দরীদের নিশীবালা বাণিজ্যে জমে উঠেছে। আবার এর সঙ্গে জমে উঠেছে মাদকের আসরও। সেবন করার হয় গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা। সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা রিপোর্টেও এ তথ্য উঠে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। আরও জানা গেছে, উচ্চ বিত্তের ছেলেরা নগরীর শাহজালাল উপশহর আবাসিক এলাকাগুলোর নির্জন বাসাবাড়িগুলোতেও এ অপকর্ম চালায়। এ এলাকার অনেক প্রবাসীর বাড়ি খালি পড়ে থাকায় এ অপকর্ম নিরাপদেই চলছে-এমন তথ্য জানা গেছে। বেশকিছু বাড়িও এ চক্রের অনুসন্ধানে মাঠে রয়েছে গোয়েন্দারা। জানা যায়, নগরীর তালতলা হোটেল বিলাস, হোটেল সাদী, জননী আবাসিক, সুফিয়া হোটেল,সুরমা মার্কেটের হোটেল টরেন্টো, বন্দরবাজারের হোটেল মগানগর, হোটেল মজলিস, হোটেল তায়েফ, হোটেল নিরালা,হোটেল ইসলাম, সিটির হার্ট আবাসিক, মর্ডান আবাসিক, লালবাজারের হোটেল আলী, হোটেল আমির , হোটেল আল মিনার, হোটেল এলাহী, হোটেল আল জালাল, হোটেল বনগাঁও,মিনা বডিং, আম্বরখার হোটেল প্রভাসী, হোটেল নূরানী, হোটেল কায়কোবাদ,হোটেল শেরাটন,মেডিকেল রোডের হোটেল সফিক,পংকি রেস্ট হাউজ,চৌধুরী বডিং, মা বডিং, দক্ষিণ সুরমার হোটেল আল-তকদীর,হোটেল বিরতি, হোটেল কাশমীরসহ অর্ধশত আবাসিক হোটেলে প্রেমিক যুগলদের এন্টি ছাড়া রুম ভাড়া দিচ্ছে হারাচ্ছে সরকারের রাজস্ব। আর এ সকল হোটেলে রুম ভাড়ার কারণে দিনে দিনে নষ্ট তরুণ তরুণীরা।
জানা গেছে, সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, দরগা, তালতলা কদমতলী, সোবহানীঘাট ও রেলস্টেশন এলাকার অর্ধশতাধিক হোটেলে এখন সুন্দরী বাণিজ্যে জমে উঠেছে। আবার এর সঙ্গে জমে উঠেছে মাদকের আসরও। সেবন করার হয় গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে গোয়েন্দা রিপোর্টেও এ তথ্য উঠে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। আরও জানা গেছে, উচ্চ বিত্তের ছেলেরা নগরীর শাহজালাল উপশহর আবাসিক এলাকাগুলোর নির্জন বাসাবাড়িগুলোতেও এ অপকর্ম চালায়। এ এলাকার অনেক প্রবাসীর বাড়ি খালি পড়ে থাকায় এ অপকর্ম নিরাপদেই চলছে-এমন তথ্য জানা গেছে। বেশকিছু বাড়িও এ চক্রের অনুসন্ধানে মাঠে রয়েছে গোয়েন্দারা।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও আরো উন্নতকরার লক্ষে পুলিশ সর্বাত্ত প্রচেষ্টা অব্যাবহত থাকবে।