পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

জাস্টিন ট্রুডো, ছবি: রয়টার্স পদত্যাগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর মধ্যে দিয়ে তার নয় বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার ইতি ঘটল। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানী অটোয়াতে তিনি তার বাসভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার দল লিবারেল পার্টির নেতাদের ক্রমবর্ধমান চাপে ট্রুডো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে জনপ্রিয়তায় ধস নামে ট্রুডোর। এ অবস্থায় তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে। এছাড়া দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটি পার্টি ওই জরিপগুলোতে এগিয়ে ছিল। চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০ অক্টোবরের আগেই দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করতে হবে।

ঘোষণায় তিনি বলেছেন, তার দল লিবারেল পার্টি একজন উত্তরসূরী বেছে নেয়ার আগ পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন তিনি।

২০১৫ সালের নির্বাচনে জিতে প্রথমবারের মতো কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন ট্রুডো। তারপর আরও দু’টি নির্বাচনে জয়ের সুবাদে টানা প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ৫৩ বছর বয়সী এই নেতা।

ট্রুডো বলেন, কয়েক মাস ধরে বাধার কারণে পার্লামেন্ট পুরোপুরি অচল হয়ে আছে। একই সঙ্গে কয়েক মাস ধরে উৎপাদনশীলতার ঘাটতি রয়ে গেছে। তিনি বলেন, এখন নতুন করে শুরু করার সময়। কানাডার রাজনীতিতে উত্তাপ কমিয়ে আনার জন্য তা দরকার।

 

তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে চলা ট্রুডো বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ‘জটিল’ সময়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য পার্লামেন্টে একটি নতুন শুরু দরকার। আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেছেন তিনি।

পদত্যাগের জন্য বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্য থেকেও ট্রুডোর ওপর চাপ বাড়ছিল। এখন ট্রুডোর উত্তরসূরি কে হতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই তালিকায় ট্রুডোর সরকারের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মার্ক কারনির নাম আলোচনায় রয়েছে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড গেল ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে পদত্যাগের জন্য ট্রুডোর ওপর চাপ বাড়তে থাকে।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।