সুরমা টাইমস ডেস্ক : বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ২টার দিকে টঙ্গী শহরের কামারপারা ও স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন স্থানে জুবায়েরপন্থী তাবলীগের সদস্যরা সাদপন্থী সাথীদের গাড়িতে হামলা চালায়। সাদপন্থী মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম এ হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হামলাকারীরা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাদপন্থী সাথীদের ওপর আক্রমণ করে এবং তাদের পথরোধ করে।
মো. সায়েম আরও জানান, “জুবায়েরপন্থীরা সাদপন্থী সাথীদের বাধা উপেক্ষা করে ইজতেমা ময়দানের পশ্চিমপাড়ে সাদপন্থীদের মারকাজে পৌঁছালে, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে সাথীদের একটি বিশাল জনস্রোত কামারপাড়া পর্যন্ত পৌঁছায়। তখন, সাদপন্থী সাথীরা ময়দানে পৌঁছানোর পর জুবায়েরপন্থীরা ব্রিজের ওপর থেকে সাথীদের দিকে ইটপাটকেল ও আগুনের মশাল নিক্ষেপ শুরু করে। এই সময়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।”
এছাড়াও, সায়েম জানান, “হামলাকারীরা ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে সাদপন্থী সাথীদের ওপর আঘাত করে। এতে অসংখ্য সাথী আহত হন। এখনও পর্যন্ত দুইজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে এবং শতাধিক সাথী গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
নিহত সাথীদের মধ্যে বগুড়ার তাইজুল ইসলাম (৬৫) নামক একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে সাদপন্থী লক্ষাধিক সাথী টঙ্গী ময়দানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাদপন্থীরা এই হামলার পর ময়দানের পশ্চিম পাশ থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এই হামলায় হতাহতদের ব্যাপারে সায়েম জানান, “দ্বিতীয় নিহত সাথীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি, তবে গুরুতর আহতরা বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে এবং টঙ্গী ময়দানে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে দুই লক্ষাধিক সাদপন্থী সাথী উপস্থিত হয়।”
এদিকে, মাওলানা সাদ অনুসারী মুফতি মুয়াজ বিন নূর জানান, “বর্তমানে ইজতেমা ময়দানে দুই লক্ষাধিক সাথী অবস্থান করছেন এবং ২০ ডিসেম্বর থেকে আমাদের পাঁচদিনের জোড় শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত আমরা মাঠ প্রস্তুতির কাজ করব। বর্তমানে টঙ্গী ময়দানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, সাদপন্থীরা তাদের আধ্যাত্মিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।”