সোহেল আহমদ গোয়াইনঘাট থেকে : সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে মাদক ও চোরাচালান বানিজ্য । দীর্ঘদিন পর আবারও সীমান্তকেন্দ্রীক চোরাচালান বৃদ্ধর সাথে বেড়েছে মাদকের সরবরাহ। প্রতিদিনই পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে মাদক, চিনিসহ কোটি টাকার চোরাচালানের পণ্য। পুলিশের হিসেবে প্রতিদিন কোটি টাকার মালামাল আটক হলেও ধরা পড়ছেনা এর সঙ্গে জড়িত কোনো চোরাকারবারী। আর এসব চোরাচালানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজিবির লাইনম্যান নামে পরিচিত, চাঁদাবাজ, দরবেশ
পুলিশের অবৈধ টাকা আদায়ের লাইনের দায়িত্বে থাকা লাইনম্যান সামছু গংরা । ক্ষেত্র বিশেষে লাইনম্যানরা পরিবর্তন হলেও জাফলংয়ের আলোচিত লাইনম্যান সামছু উরফে লাইন সামছু রয়েছে বহাল তবিয়তে । সে বর্তমানে জাফলং জিরো পয়েন্টের সারিঘাটে পুলিশের অবৈধ টাকা আদায়ের লাইনের দায়িত্বে রয়েছে। পুর্বজাফলং বিট অফিসার জহুর লালের সাথে রয়েছে লাইনম্যান সামছুর গভীর সখ্যতা। যার ফলে সে এই লাইনের দায়িত্ব হাতিয়ে নিয়েছে।
লাইনম্যান সামছু ভারতীয় চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নামে প্রতিদিন রাতে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। যদি কোন চোরাকারবারীরা তাকে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে সাথে সাথে ওই লোককে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে চোরাকারবারীরা তাকে টাকা দিয়ে ছাড় পেয়ে যায়।
একাধিক সুত্র জানিয়েছে, লাইনম্যান সামছু সে নিজেও মাদক ব্যাবসা ও চোরাচালানের সাথে জড়িত।
লাইনম্যান সামছু গোয়াইনঘাটের মাটি ও মানুষের নেতা সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিমের স্টেজ ভাংচুরের মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তারের বদলে পুলিশ তাকে বন্ধু হিসাবে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাটের লাইনম্যান সামছুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসি জানান, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে পুলিশ তৎপর রয়েছে।