নবীগঞ্জে সাইফুলের বিরুদ্ধে বানিয়াচংয়ের ৯ মার্ডার মামলায় পুলিশের আবেদন

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ৯ জন নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে শ্যালক আলমগীর চৌধুরীসহ অর্ন্তভুক্তির আবেদন নিয়ে তোলপাড় চলছে। বিগত দুইবছর পূর্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন সাইফুল জাহান চৌধুরী।
সম্প্রতি জামায়াতের বহিস্কৃত এক নেতার মামলায় পুলিশ তাকে আটক করলেও ১ দিন পরই তিনি জামিনে মুক্ত হন। ২৮ নভেম্বর উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক নাজিমুদৌলার পিতা কর্তৃক দ্রæত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় আদালতে হাজির হয়ে দুই সহোদরসহ ১৩ আসামি জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। ২৯ নভেম্বর শাশুড়ির মৃত্যুতে শ্যালক আলমগীরসহ প্যারুলে মুক্তি পেয়ে জানাযায় অংশ নেন। ১ ডিসেম্বর আদালত থেকে কারাগারে থাকা সাইফুল জাহানসহ ৬ আসামীর জামিন মঞ্জুর হয়। এর মধ্যে ৪ জনকে মুক্তি দেয়া হলেও শ্যালক আলমগীর চৌধুরী ও সাইফুল জাহান চৌধুরীকে হবিগঞ্জের মুস্তাক হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। এরই মধ্যে ৫ ডিসেম্বর বানিয়াচংয়ে ৯ জন হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের আটকের আবেদন করেন এসআই জাহাঙ্গীর আলম। আজ রবিবার আবেদনের শুনানির খবর নিশ্চিত করেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, গত ৫ আগষ্ট পটপরিবর্তনের পরও থানা পুলিশকে সহায়তাসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেন সাইফুল জাহান চৌধুরী। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। দেশের প্রাচীণতম দৈনিক ইত্তেফাকের উপজেলা প্রতিনিধি ছাড়াও নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এনিয়ে নবীগঞ্জ বাজারের একাধিক ব্যাবসায়ি জানান, দেশের পটপরিবর্তনের ক্রান্তিকালে ব্যাবসায়িদের পাশে থেকে সক্রিয় সহযোগিতা করেন সাইফুল। আওয়ামিলীগ দলীয় সাবেক এমপি শাহনেওয়াজ গাজী মিলাদের সাথে বিরোধের জের হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তাকে দেখা যায়নি। এনিয়ে স্থানীয় ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকেও বিস্তর সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। সাইফুল সহোদর ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু বলেন, স্থানীয় একটি অশুভ চক্র উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিরোধের জের হিসেবে প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। তিনি সুবিচার প্রত্যাশার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দুষ্কৃতকারীদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।