গাছ ও বাঁশ কেটে নেওয়ার ঘটনায় একমাসেও মামলা নেয়নি পুলিশ
সুরমা টাইমস ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গাছ ও বাঁশ কাটার ঘটনায় এক মাস পার হলেও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপন করার পাশাপাশি দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। এ ঘটনায় প্রবাসী পরিবারসহ এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গত ২৬ অক্টোবর জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী কোনাপাড়া গ্রামে মো. আকিকুর রহমান কোরেশীর বাগানবাড়িতে হামলা চালিয়ে আম, জাম ও কাঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ গাছ ও শতাধিক বাঁশ কেটে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাগানবাড়ি তছনছ করার পাশাপাশি কেয়ারটেকার রুমন আলীকে মারধোর করে। পাশাপাশি সিলেট শহরে অবস্থানকারী ভূমি মালিক আকিকুর রহমান কোরেশী ক্ষতিসাধনের হুমকি দেয় হামলাকারীরা।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আকিকুর রহমান কোরেশী সিলেট থেকে জগন্নাথপুর গিয়ে সরেজমিনে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে জগন্নাথপুর থানায় পাটলী গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর ছেলে আমির আলী, আজির আলী মিল, ছামির আলী, জমির আলী এবং মৃত কদর আলীর ছেলে রেজওয়ান আহমদ, ছায়েদ আলী, সিজিল মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর এসআই সাকিব সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ ও বাঁশ কাটার সত্যতা পান। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন। বাদীপক্ষ থানার জগন্নাথপুর থানার ওসি মোকলেছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলেও কোনো সদুত্তর পান নি।এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি মোকলেছুর রহমান বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন, তার সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি। তবে ওসি দাবি করেন, যারা গাছ কেটে নিয়েছে, তারা মামলার বাদী আকিকুর রহমান কোরেশীর আত্মীয় বলে তিনি জেনেছেন।অভিযোগকারী আকিকুর রহমান কোরেশী বলেন, গত কয়েকমাস আগে আমার মালিকানাধীন ভূমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল থানায় জিডি করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এরপর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সিলেট শহরে বসবাস করে চিকিৎসা নিচ্ছি। এ সুযোগে গত ২৬ অক্টোবর সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও বাঁশ কেটে নেয়। আমি থানায় অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পেলেও রহস্যজনক কারণে মামলা রেকর্ড করছে না। তিনি বলেন, আমার ছেলেরা প্রবাসী। আমিও প্রবাসে গেলেও দেশের মায়ায় ফিরে এসেছি। যারা আমার গাছ ও বাঁশ কেটে নিয়েছে, তারা আমার প্রতিবেশি, কোনো আত্মীয় নয়। এ অবস্থায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশের অসহযোগিতার কারণে আমি হতবাক।