আগে পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে মহিলারা কাঁদতো, এখন পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে পুরুষরা কাঁদে
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য, মৌলভীবাজার-১ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন বলেছেন- এবারের নির্বাচন আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর নির্বাচন নয়, এটা হচ্ছে দেশ ও স্বাধীনতা রক্ষার নির্বাচন। আগে পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে মহিলারা কাঁদতো, এখন পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে পুরুষরা কাঁদে। পেঁয়াজ ও আলুর বাজার বলে দিচ্ছে ভোট কোথায় দিবেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত পৌনে আটটায় মৌলভীবাজারের জুড়ী শহরে জোনাকী বিপনীর সামনে জাতীয় পার্টি আয়োজিত লাঙ্গল মার্কার নির্বাচনী জনসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি আওয়ামী লীগকে বড় বেঈমান ও জাতীয় পার্টিকে ছোট বেঈমান বলে অখ্যায়িত করেন।
উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা আনোয়ারুল হক আনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী, তাঁর পুত্র, ভাগ্না ও সুবিধাভোগী নেতাদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহাব উদ্দিন পনেরো বছরের এমপি, হুইপ ও মন্ত্রী। ভোট চুরি করে এমপি, মন্ত্রী হয়েছেন। লাতুর ট্রেন চালু করতে পারেন নাই। হাকালুকি হাওরের উন্নয়নে কোনো প্রকল্প নিতে পারেনে নাই। বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক কাজ শুরুর আগেই লুটে খাওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। হাকালুকি হাওরের পানি নিষ্কাশন পথে কাইয়ূম চৌধুরী বুড়িকিয়ারী বাঁধ দিয়েছেন। তাই বছরে ছয় মাস জুড়ী-বড়লেখা উপজেলার বেলাগাঁও, জায়ফরনগর, সুজানগর, বর্নি, দাসের বাজার ইত্যাদি এলাকা বন্যায় নিমজ্জিত থাকে। বাঁধ ভাঙ্গার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয় নি। বন্যাকবলিত এ এলাকায় ত্রাণ আসে আর সে গুলো নিয়ে চা বাগানে বিলি করা হয়। এখন নৌকার নির্বাচনী সভায় গানের আসর বসিয়ে মানুষ জড়ো করতে হয়। জুড়ী-বড়লেখায় মামু-ভাগ্নার রাজত্ব চলছে। এই রাজত্ব ভাঙ্গার জন্য আমি টাইগার হয়ে এসেছি। শিয়ালের মত একশ বছর বাঁচার চেয়ে সিংহের মত ২ দিন বাঁচবো। আমাকে হয়তো মেরে ফেলা হতে পারে। আমার মৃত্যুর খবর পেলে সুজানগরে আমার জানাজায় যাবেন। বেঁচে থাকলে আমাকে লাঙ্গলে ভোট দিবেন। রাত ৮টায় এসি ল্যান্ড ফোন করে আচরণবিধির উল্লেখ করে আমাকে মাইক বন্ধ করতে বলেন। অথচ রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত গ্রামেগঞ্জে মন্ত্রীর জনসভা চলে সেটা প্রশাসন চোখে দেখে না।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনকে স্যালুট জানিয়ে তিনি বলেন- ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি, রাতে শীল মারার দিন শেষ। আশা করি ভালো নির্বাচন হবে। আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিবেন। যদি ভোট ভালো না হবার কোনো সম্ভাবনা দেখা দেয়, তাহলে ৫ তারিখ আমি নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারি।
সভায় জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।