বাংলাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান পান্না (জেড আই খান) বলেছেন, মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে হওয়া কাগমারি সম্মেলন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তিনি শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন।
৬৯ এর গণআন্দোলনের সূচনা হয়েছিল মওলানা ভাসানীর হাত ধরেই। পুলিশী বাধা উপেক্ষার কৌশলে তিনি মোনাজাত করার মাধ্যমে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তখন থেকেই আন্দোলন দানা বাধতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে সংগঠিত হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। মওলানা ভাসানী ছিলেন জাতীয় একজন অভিভাবক।
তিনি বলতেন, ‘ভোটের আগে ভাত চাই’। জেড আই খান পান্না আরো বলেন, মওলানা ভাসানীর আদর্শকে পাথেয় করেই আমাদের আগামী দিনের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর দাড়িয়াপাড়ায় আজীবন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন সিলেটের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি এডভোকেট এমাদুল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলা শাখার সদস্য এডভোকেট রনেন সরকার রনির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সিলেটের সাবেক পিপি ইউনাইটেড পিপলস পার্টির প্রাক্তন সভাপতি এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ,
শাবিপ্রবির প্রাক্তন রেজিস্টার জামিল আহমদ চৌধুরী, বাসদ মার্কসবাদী সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়, বাসদ সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড আবু জাফর, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সভাপতি কমরেড সিরাজ আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খান, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক এডভোকেট মনির উদ্দিন,
বাংলাদেশ লেখক শিবির সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ আহমদ, মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন সিলেটের সংগঠক মাহমুদুর রহমান ওয়েছ, সদস্য সচিব আমিন তাহমিদ, সদস্য কয়েস আহমদ সাগর প্রমুখ।
—বিজ্ঞপ্তি