সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
সংবাদ সম্মেলনে জকিগঞ্জের আব্দুস সামাদ
জকিগঞ্জে জামাত-শিবিরের গোপন কার্যক্রমে বাধা দেয়ায় হামলার শিকার হয়েছেন যুবলীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ ও ভাতিজা আব্দুল বাছিত। তবে তাদের উপর হামলা চালিয়েও শান্ত হয়নি জামাত-শিবিরের ওই দুষ্কৃতিকারীরা। একের পর এক হুমকিও দিচ্ছে তারা। এ কারণে আজাদ ও তার স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বুুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে জীবনের নিরাপত্তা ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সামাদ আজাদ।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, ‘আমাদের জকিগঞ্জ উপজেলার জালালপুর গ্রামের মৃত সামছ উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন, একই গ্রামের সফিক আলীর ছেলে খছরুল ইসলাম এবং কাপনা গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন ও ফখরুল ইসলাম জামাত-শিবিরের সক্রিয় সদস্য।
আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ খলাছড়া ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক। তাদের বিভিন্ন গোপনীয় কার্যক্রমে আমি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে বাধা প্রদান করি। যার প্রেক্ষিতে তারা আমাকে বিভিন্ন সময় গালিগালাজ ও নানাভাবে হুমকি প্রদান করে। এমনকি হামলাও চালায় আমার উপর।’
আজাদ বলেন, ‘২১ সেপ্টেম্বর জকিগঞ্জ ডাকবাংলা প্রাঙ্গণে জেলা যুবলীগ নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে যুবলীগের মিছিল সহকারে খলাছড়া ইউনিয়ন হতে যোগদান করি।
এর পর থেকে জামাত-শিবিরে ওই সদস্যরা আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়। ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে আমি স্থানীয় ঈদগাহ বাজার উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় জকিগঞ্জ-সিলেটের পাকা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় রুহুল আমিন, খছরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন ও ফখরুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় আমার সাথে থাকা ১০,৫৫০ টাকাও তারা লুটে নেয়। চিৎকার শুনে আমার ভাতিজা আব্দুল বাছিত সেখানে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও মারধর করে। এতে আব্দুল বাছিতও আহত হয়। চিৎকার শুনে একপর্যায়ে ঈদগাহ বাজারে থাকা লোকজনসহ এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যায়।
তবে এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিলে আমাদেরকে হত্যা করা হবে বলে হামলাকারীরা হুমকি দেয়। হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে জকিগঞ্জ থানা ও সিলেট পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।’
আজাদ বলেন, ‘রাতের আঁধারে হামলার পরও শান্ত নয় জামাত-শিবিরের দুষ্কৃতিকারীরা। তারা হামলার পরেও আমাদেরকে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে।
এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। প্রশাসনের কাছে আমাদের নিরাপত্তার জোর দাবি জানাছি। তাছাড়া হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ এবং হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছি। একই সাথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সহযোগিতা কামনা করছি।’