সংসদে কন্ঠভোটে নিবর্তনমূলক সাইবার নিরাপত্তা বিল পাশের নিন্দা জানিয়েছে সিপিবি(এম)

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)—সিপিবি(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে দেশের জনগণ ও দেশ বিদেশে সকল শ্রেণীর মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে সংসদের শেষ অধিবেশনে নিবর্তনমূলক সাইবার নিরাপত্তা বিল ২০২৩ পাশ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার চাতুরতার সাথে কৌশলে সেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত সাইবার নিরাপত্তা আইনটিও সমালোচনা, ভিন্নমত ও মুক্তচিন্তা দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। আইনের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার, ২৭ ও ৩২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১ কোটি টাকা জরিমানা এবং ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান, ২৮ ধারায় (ঘৃণ্য ব্লাসফেমি আইনের নব সংস্করণ) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শাস্তির নামে ২ বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

সিপিবি(এম) নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সরকার আগের মতোই সাংবাদিক ও বিরুদ্ধ মত মানুষদের দমনের জন্য ব্যবহার করবে ফলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই এ আইন পাশ করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতই হয়রানি করার সকল বিধান সন্নিবেশিত আছে এই আইনে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বিএনপি—জামাত জোট সরকার প্রণীত আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা ব্যবহার করেছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিল আর আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে জনমত উপেক্ষা করে একই রকম নিবর্তনমূলক সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট কণ্ঠ ভোটে পাশ করা হলো। যা মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হরণ করবে বলে আমরা মনে করি।

নেতৃদ্বয় বলেন, নিবর্তনের জন্য এই কালো আইন প্রণয়নে সরকার এত উদগ্রীব যে কোন প্রতিবাদকে গ্রাহ্য করেনি। আমরা এই আইন সহ সকল নিবর্তনমূলক কালা—কানুন বাতিলের দাবি জানাই এবং সকল প্রগতিশীল গণতন্ত্রমনা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলুন প্রতিবাদে সামিল হউন।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।