সর্বক্ষেত্রে দলীয় করনের ফলে মেধাবী তরুণরা বঞ্চিত হচ্ছে: কাইয়ুম চৌধুরী

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ

 

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার প্রতিটি সেক্টরে নগ্নভাবে দলীয়করন করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে। বিসিএস সহ সরকারী চাকুরীতে মেধাবী প্রার্থীদের পরিবার বা আত্মীয় স্বজনদের সাথে বিএনপি বা বিরোধী মতের নূন্যতম রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদেরকে চাকুরী দেয়া হচ্ছে।
আর সরকার দলের সমর্থক হলে অযোগ্য ও অথর্ব প্রার্থীদের চাকুরীতে পদায়ন করা হচ্ছে। ফলে প্রশাসনিক কাঠামোতে মেধাবী তরুণরা স্থান পাচ্ছেনা, আর অযোগ্যরা প্রশাসনে বসার কারনে পুরো কাঠামোই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
অনেক মেধাবী তরুণ যোগ্যতা থাকার পরও চাকুরী না পাওয়ায় নিজেদের সনদপত্র পুড়িয়ে ফেলছে, এমনকি আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয় করনের ফলে মেধাবী তরুণরা বঞ্চিত হচ্ছে। একটি দেশ এই অবস্থায় চলতে পারে না।
আমাদের সম্ভাবনাময় মেধাবী তরুণদের রক্ষা করতে হবে। এজন্যই প্রতিটি বিভাগে তারণ্যের সমাবেশ করে দেশের তরুণ সমাজের সমস্যা-সম্ভাবনার কথা জানানো হচ্ছে। দেশকে নিয়ে তাদের ভবনার কথা শুনা হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান তরুণদের প্রতি খুবই আন্তরিক। তিনি দেশের তরুণ সমাজকে সাথে নিয়ে একটি সুখি, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চান।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগামী ৯ই জুলাই সিলেট বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশের প্রতি একাত্মতা পোষণ করে নগরীর বন্দর, জিন্দাবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করেন। তৎপূর্বে কোর্ট পয়েন্টে সংক্ষিপ্ত সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে ভোটারদের একটি বড় অংশ তরুণ। তারা অনেকেই নতুন ভোটার হয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য দেশের এই তরুণ ভেটাররা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। ফ্যাসিবাদীরা তরুণদের ভোটাধিকারও কেড়ে নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতি থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ন্যায় দেশের তরুণ সমাজকেও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে নামতে হবে। ইতিহাস বলে দেশের তরুণ ও যুব সমাজ যখনই তাদের ন্যায্য দাবী নিয়ে রাস্তায় নেমেছে৷ তখন তারা দাবী পুরণ করেই তবে ঘরে ফিরেছে।
এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী দেশবাসীর সাথে ডিজিটাল প্রতারণা করেছে। এখন তারা কথিত স্মার্ট বাংলাদেশের শ্লোগান দিয়ে দেশের তরুণ সমাজকে বোকা বানাতে চায়। তরুণরা আজ জেগে উঠেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এড. আশিক উদ্দিন আশুক, ফখরুল ইসলাম ফারুক, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনুর আহমদ, এড. সাঈদ আহমদ, এড. আল আসলাম মুমিন, শামীম হেলালী, এড. বদরুল ইসলাম চৌধুরী, এড. মোস্তাক আহমদ, আলী আকবর, আলাউদ্দিন রিপন, জালাল খান, মাহবুব আলম,
অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, শাহীন আলম জয়, ডাঃ নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, আলাউদ্দিন আলাই, নাজিম উদ্দিন পান্না, শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আহমদ সোলায়মান চেয়ারম্যান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খাঁন,

 

আক্তার হোসেন রাজু, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, রেজাউল করিম রায়হান, সুহেল ইবনে রাজা, তোফায়েল আহমেদ, হুসাইন আহমদ, ফয়সাল আহমদ, রিফল আহমেদ, নিজামুল ইসলাম, সুলেমান আহমেদ, আফরোজ আলী, জুয়েল আহমদ, মাহফুজুর রহমান কাওছার,
ফয়সাল আহমেদ, নাছিম আহমদ, রাসেল আহমদ, আখতার হোসেন, মিছবাহ উদ্দিন ইমন, এনামুল হক, মাসুম আহমদ শামীম, রায়হান আহমেদ, জুবায়ের আহমদ শিমুল , আজমল হোসেন অপু, মাহি আহমদ, এ এম শোয়েব, আবুল কাশেম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।