সংবাদ সম্মেলন করে দ্বাদশ নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাপ মিয়া

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি::

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে চান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাপ মিয়া।

গোয়াইনঘাট  প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার (২৭শে জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হক, উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিলেট-৪ আসনে সংসদ সদস্য পদের প্রার্থিতা নিয়ে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলাবাসীর মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি রয়েছেন। যিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে এ আসন থেকে ৬বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তারপরও  সংবাদ সম্মেলন করে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন  সিলেট জেলা  আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের  সহ-সভাপতি গোলাপ মিয়া।

 

গোলাপ মিয়ার প্রার্থিতা ঘোষণায় সমাগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনের তৃনমুলের মাঝে নতুন আমেজ সৃষ্টি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে গোলাপ মিয়া বলেন, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের ইচ্ছাতেই আমি সিলেট-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।

 

গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলা গুলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাঙ্ক্ষিত ডিজিটাল  উপজেলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আমি সংসদ সদস্য পদে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী।

তিনি আরোও বলেন, সিলেট চার আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এ আসন থেকে প্রায় দীর্ঘ ৩০ বছর নির্বাচিত এমপি থাকার সুবাদে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় শিক্ষা, যোগাযোগ, চিকিৎসা ও শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে ঐ তিন উপজেলার চিত্র বদলে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দল আমাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিলে এ আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করাই হবে তার প্রধান কাজ। তিন উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সেতু নিরাপদ সড়কের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জেব্রা ক্রসিং ও পদচারী-সেতু নির্মাণ করবেন।

 

এ ছাড়া অ্যাপসের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধার সব কার্যক্রম তিন উপজেলাবাসীকে অবগত করবেন। এ ছাড়া তিনি বিনোদন ও খেলাধুলার আধুনিকায়নের জন্য নিজের পরিকল্পনার কথা জানান। গোলাপ মিয়া বলেন, আমি দশম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হই। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার পরে পরিবারের সাথে যুক্তরাজ্যে চলে যাই। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা বানিজ্যের এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হই।

 

প্রবাসে থাকলেও দেশের প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেশে চলে এসেছি। এ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইমরান আহমদ এমপি মহোদয়কে জয়ী করার লক্ষ্যে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে শ্রম, মেধ ও অর্থ ব্যয় করেছি। তাছাড়া প্রতিটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যা, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি, ঈদ, পূজায় তিন উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছি। অপর দিকে তিন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান,মসজিদ, মন্দির, মাদরাসা ও কলেজে সহযোগিতার প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন সম্মেলনে আমার সক্রীয় অংশগ্রহন ছিল।

যার কারণে দল আমাকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে আসীন করে।

 

গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার গরীর দূংখি ও মেহনতী মানুষের সেবার লক্ষেই এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

দল যদি আমাকে  মনোনয়ন না দেয় আমি দূ:খিত হবোন বরং যাকে মনোনয়ন দেবে তার বিজয় নিশ্চিত করতে আমি তার পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলার সদর ইউনিয়নের অসহায় ও হত দারিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরণ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।