কানাইঘাটে চোর সন্দেহে পিকআপ চালককে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা,গ্রেফতার ২

কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

 

কানাইঘাটে চোর সন্দেহে এক পিকআপ চালককে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছত্রনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র আব্দুল হামিদ (২৫) একজন পিকআপ গাড়ীর চালক।

 

গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আব্দুল হামিদ পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের চরিপাড়া গ্রামে তার শ্বশুড় বাড়ি থেকে পিকআপ গাড়ী চালিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে চরিপাড়া নয়াগ্রামের বাসিন্দা রফিকুল হকের পুত্র আব্দুর রবের বাড়ির সামনে পৌঁছিলে পিকআপ গাড়ীটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।

তখন গাড়ী আব্দুল হামিদ গাড়ী সারানোর সময় আব্দুর রব চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করলে একই গ্রামের হাবিব আহমদ, পারভীন বেগম, আব্দুল হাকিম,

আজমল হোসেন, আব্দুল আহাদ সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন বিবাদীরা আব্দুল হামিদ কিছু বুঝে উঠার পূর্বে তাকে বেদড়ক মারপিট করে। একপর্যায়ে বিবাদীরা গাড়ী চালক আব্দুল হামিদকে টেনে হেঁছড়ে আব্দুর রব এর বসত ঘরের বারান্দার সাথে রশি ও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আব্দুর রব দা দিয়ে মাথায় কোপিয়ে ও অন্যান্য বিবাদীরা মেগ লাইট, রড, রুইল দ্বারা আবারো পিঠাইয়া গুরুতর জখম করে জানা যায়।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ এলাকার লোকজন ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে তারা বাঁধা প্রদান করে। একপর্যায়ে কানাইঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পিকআপ গাড়ী চালক আব্দুল হামিদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল হামিদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।

এ ঘটনার সাথে জড়িত আব্দুর রব (৫০) ও আজমল হোসেন (৬০) নামে দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গুরুতর আহত আব্দুল হামিদের স্ত্রী কুলসুমা বেগম বাদী হয়ে আটককৃত দু’জন সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং— ১৮, তারিখ— ২০/০৪/২০২৩ইং।

থানা পুলিশ আটক দু’জনকে মামলার এজাহার নামীয় আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছে বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, উপজেলার চরিপাড়া গ্রামে এক পিকআপ ড্রাইভারকে আটক করে মারধরের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়।

আহতের স্ত্রীর দায়েরকৃত অভিযোগ রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।