মশা নিধনে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে মেয়র বরাবরে সিলেট কল্যাণ সংস্থার স্মারকলিপি প্রদান
বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা এবং সিলেট বিভাগের যুব সংগঠক, আত্মকর্মী ও বাংলাদেশ প্রেমী সৃষ্টিশীল যুবদের সমন্বয়ে এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক যুব সংগঠন সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ১৩ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার বেলা ১২.০০ ঘটিকায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবরে মশা নিধনে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মেয়রের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম। স্মারকলিপির অনুলিপি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় যুব দিবস ২০১০-এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত, দক্ষ, কর্মমূখী, গতিশীল যুব সমাজের স্বপ্নদ্রষ্টা ও ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচীর উদ্ভাবক সিলেট বিভাগের সামাজিক যুব কার্যক্রমের কর্ণধার সংস্থাদ্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট জেলা) মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, সহ-প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, সহ-অর্থ সম্পাদক মোঃ নুর হোসেন ও সমাজ সচেতন নাগরিকদের মধ্য থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রেফারী আব্দুল আজিম।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ ‘সিলেট মহানগরীতে যে উন্নয়ন হয়েছে ও অব্যাহত আছে, তার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বর্তমান সময়ে আমরা মহানগরবাসী একটি অন্যতম বিষয়ে খুবই যন্ত্রণায় দিন অতিবাহিত করছি। দিনে ও রাতে সেই যন্ত্রণা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। সে বিষয়টি সম্পর্কে আপনি ভালোভাবেই অবগত আছেন, তা হচ্ছে মশা। তার জন্য সাধারণ জনগণের অনেক টাকা অকারণে অপচয় করতে হয়।
যে বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদাসীনতা ও আইওয়াশ আমরা নগরবাসীকে হতবাক করেছে। মশা নিধনে বর্ষার শেষের দিকেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শীত শেষে বসন্ত এলেও মশার যন্ত্রণায় নগরবাসী অস্থির অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছেন। মশা নিধনের জন্য নগরবাসী স্বাস্থ্য পরিপন্থি বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করেন। তন্মেধ্যে, কয়েল, স্প্রে, ইলেক্ট্রনিক্স বিভিন্ন সামগ্রী সহ মশা নিধনে বিভিন্ন প্রকার বিষ প্রয়োগ করা হয়।
যা বিভিন্ন রোগব্যধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি ভালোভাবেই জানেন যে, মশার আক্রমণে জ্বর, ডেঙ্গুজ্বর, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, লিস্ফ্যাটিক ফিলারিয়াসিস, জাপানিজ এনসেফালিটিস, এনসেফাইলাইটিস, ইয়ারো ফিভার হয়ে থাকে। এসব রোগের চিকিৎসা নেয়ার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আমাদের জনসাধারণের কাছে নেই। তাই অনতিবিলম্বে সিলেট মহানগরবাসীর জন্য মশার প্রাদুর্ভাব নির্মূলে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবভিত্তিক সুষ্ঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে সুদুরপ্রসারী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সিলেট মহানগরীর জন্য মশা নিধনে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে মশার উপদ্রব লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপনার সদয় মর্জি হয়।
—বিজ্ঞপ্তি ।।