মোগলাবাজার থানা পুলিশ কর্তৃক আসামীসহ বিপুল পরিমান ট্রান্সফরমার তার চুরির মালামাল উদ্ধার

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ

এসআই(নিঃ)/মোঃ সাখাওয়াত হোসেন গত ০৯/০৩/২০২৩খ্রিঃ মূলে বিশেষ অভিযান ও থানা এলাকায় সিয়েরা ৫৫ টহল ডিউটি করাকালিন রাত অনুমান ২৩:০০ ঘটিকার সময় মোগলাবাজার থানাধীন প্রগতি পাম্পের সামনে চেক পোষ্ট করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, অত্র মোগলাবাজার থানাধীন ফেঞ্চুগঞ্জ টু সিলেট সড়কের দিক থেকে সিলেট এর দিকে একটি DI পিকআপ গাড়ী যোগে কয়েকজন ব্যক্তি সরকারী বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের চোরাই তামার তার ও যন্ত্রাংশ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়া আসিতেছে।

 

এসআই(নিঃ)/মোঃ সাখাওয়াত হোসেন উক্ত বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অত্র মোগলাবাজার থানাধীন প্রগতি পাম্পের সামনে চেক পোষ্ট করিতে থাকে। চেক পোষ্ট করাকালীন সময় অনুমান ২৩:১০ ঘটিকার সময় একটি DI পিকআপ সিলেট এর দিকে আসিতে দেখিয়া এসআই(নিঃ)/মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ পিকআপটি থামানোর সংকেত দিলে পিকআপটির চালক সিগনাল অমান্য করিয়া পিকআপটি দ্রুত গতিতে চালাইয়া হুমায়ুন রশিদ চত্তর এর দিকে নিয়া যাইতে থাকে। তখন উপস্থিত অফিসার ও ফোর্স এর সহায়তায় সরকারী ডিউটি গাড়ী যোগে উক্ত পিকআপ গাড়ীটিকে ধৃত করিবার জন্য ধাওয়া করে এবং হুমায়ুন রশিদ চত্তরে ডিউটিরত দক্ষিণ সুরমা থানার ডিউটি পার্টি সিয়েরা স্পেশাল ৪১কে বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে সতর্ক করে।

 

কিছু দূর যাওয়ার পর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন হুমায়ুন রশিদ চত্বরে পার্শ্ববর্তী সিলেট টু ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পাশে শান্তা ট্রেডার্স এর সামনে উল্লেখিত DI পিকআপটির চালক গাড়ীটি থামাইয়া কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স এর সহায়তায় চালক মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৫), পিতা-নুরুল ইসলাম, মাতা-কমরুন নেছা, সাং-সুন্দ্রগাঁও, ইউ/পি নন্দীরগাঁও, থানা-গোয়াইনঘাট, জেলা-সিলেটকে হাতে নাতে ধৃত করে। তখন সেখানে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে তাহার দখল ও হেফাজত হইতে উদ্ধারকৃত ক) ০১(এক)টি TATA কোম্পানীর DI পিকআপ, যাহার রেজিঃ নং-সিলেট মেট্রো-ন-১১-১২৮৫, যাহার গায়ে লামিছা পরিবহণ, প্রোঃ ফরিদ পাঠান লিখা রহিয়াছে, যাহার মূল্য অনুমান ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা, খ) ১০(দশ)টি ছেড়া ফাড়া প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত চোরাই বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার এর তামার কয়েল এবং বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের চোরাই তামার যন্ত্রাংশ, সর্বমোট ২২২ কেজি, প্রতি কেজির অনুমান মূল্য ১০৭০/-(এক হাজার সত্তর) টাকা, সর্বমোট ২,৩৭,৫৪০/-(দুই লক্ষ সাইত্রিশ হাজার পাঁচশত চল্লিশ) টাকা, গ) ১১(এগার)টি ছেড়া ফাড়া প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের চোরাই ষ্টিলের ওয়েল কাভার, যাহা সর্বমোট ৪৫৭ কেজি, প্রতি কেজির মূল্য অনুমান ৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা, সর্বমোট মূল্য ২২,৮৫০/-(বাইশ হাজার আটশত পঞ্চাশ) টাকা জব্দ করে। জব্দকৃত চোরাই বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তামার কয়েল তামার যন্ত্রাংশ এবং ষ্টীলের ওয়েল কাভার এর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে নাই।

 

ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, উল্লেখিত পলাতক আসামী এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীদের পরস্পর যোগসাজশে জব্দকৃত সরকারী বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার এর যন্ত্রাংশের চোর চক্র এবং ইহা ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। ধৃত আসামী আরো জানায় যে, সে এবং তাহার সহযোগী পলাতক আসামী ফরিদ পাঠান কানাইঘাট এর মতিন, জালালাবাদ থানার তেমুখী এলাকার মোতালেব, এবং এয়ারপোর্ট থানার সাহেব বাজার এলাকার ইব্রাহিম এর নিকট থেকে চোরাই ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ অভ্যাসগতভাবে সংগ্রহ করিয়া সিলেট শহরের বিভিন্ন ভাঙ্গারীর দোকানে পলাতক সহযোগিদের সহায়তায় বিক্রয় করিয়া থাকে।

 

ধৃত আসামী অতিগুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার এর চোরাই তামার কয়েল তামার যন্ত্রাংশ এবং ষ্টীলের ওয়েল কাভার অভ্যাসগতভাবে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখিয়া পেনাল কোডের ৪১৩ ধারার অপরাধ করিয়াছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় নিয়মিত মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনাব মোঃ রেজাউল করিম, অফিসার ইনচার্জ মোগলাবাজার থানা, এসএমপি সিলেট।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।